Responsive Ads Here

19 January 2012

ফরেষ্টী ডিপার্টমেন্ট

ক্কুক্কুরুরুরুরুককুক…… ক্কুক্কুরুরুরুরুককুক…… ক্কুক্কুরুরুরুরুককুক……
বাংলার গ্রামাঞ্চলে সাধারনত খুব ভোরে মোরগের ডাক শোনা যায় । অনেকক্ষন ধরে এ ডাক শুনে চলেছে আবীর । কিন্তু সকাল ১০ টার সময় তার রুমে মোরগ ডাকবে কোত্থেকে??? ও আচ্ছা মোবাইল ফোনটা বেজে চলেছে । গতকালই এক ফ্রেন্ডের কাছ থেকে রিংটোনটা নিয়েছে সে । রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ধমকের সুর…
"এখনো ঘুমাচ্ছিস???"
"হুম"
"কয়টা বাজে দেখেছিস???"
"কয়টা ???"
"দশটা, আজ না এগারোটা থেকে পরীক্ষা আছে…"
"ও হ্যাঁ তাই তো, তাই তো"
ঘুম ছুটে যায় আবীরের । তাড়াতাড়ি ওঠে ফ্রেশ হয়ে নেয় সে । তারপর কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে ছুট লাগায় ভার্সিটির দিকে । আজকে ট্রেনও মিস, বাসেই যেতে হবে ।

কালকে রাতে পড়তে পড়তে বেশী দেরী করে ঘুমিয়েছিল । ঈশিতা অবশ্য বলেছিলো তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে । কিন্তু কে শোনে কার কথা । মোবাইলটা অফ করে দিয়ে সে পড়তে থাকে । জানে ঈশিতা ফোন করবে এবং মোবাইল বন্ধ পেয়ে যথারীতি রাগান্বিত হতে থাকবে । থাক রাগ করুক । মাঝে মাঝে ওকে রাগাতে মজাই লাগে আবীরের । সবসময় ওকে টপকে ভাল রেজাল্ট করলে বুঝি রাগ লাগে না তার । আর তখন এমন ভাব দেখায় যেন তার বিদ্যার কাছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও নস্যি । রাগে পিত্তি জ্বলে যায় আবীরের ।

ঈশিতা ও আবীর খুব ভাল ফ্রেন্ড । কিন্তু পড়ালেখায় ঈশিতা একটু ভাল । সবসময়ই আবীরের চেয়ে ভাল রেজাল্ট করে সে । তাই আবীর এবার আদাজল খেয়ে লেগেছে । যে করেই হোক ঈশিতাকে ফেলতেই হবে ।

এমনিতেই ঘুম থেকে দেরী করে ওঠেছে । তার উপর রাস্তার জ্যাম সবমিলিয়ে হলে যখন পৌছালো আবীর ততক্ষণে পরীক্ষা শুরূ হয়ে গেছে । ঈশিতাকে দেখলো একদম সামনের বেঞ্চে বসে নিবিষ্ট মনে লিখছে ।

পরীক্ষা শেষ হতেই ঈশতা ধরে নিয়ে গেল সুনামী গার্ডেনে । তারপর রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো-
"তুই কালকে ফোন বন্ধ রেখেছিলি কেনো???"
"এমনি… মেয়েরা এতো ডিস্টার্ব করে তাই ভাবলাম অফ রাখি…" গলার স্বরটাকে যথাসম্ভব কোমল করে বলল আবীর ।
"কি!!! মেয়েরা তোকে ডিস্টার্ব করে!!! "
"হুম সামনেই তো বসে আছে জলজ্যান্ত প্রমাণ"
"কি!!! আমি তোকে ডিস্টার্ব করি??? খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই আমার তোকে ডিস্টার্ব করব, হুহ । শোন মেয়েরা যেদিন তোকে ডিস্টার্ব করবে সেদিন সূর্য পূর্ব দিকে উঠবে না, পশ্চিম দিক উঠবে ।"
"ও… তোর তাই মনে হয় । নিজেকে কি মনে করিস তুই??? বিশ্বসুন্দরী… তোর মত বিশ্বসুন্দরীর দিকে ছেলেরা বুঝি হা করে তাকিয়ে থাকে । এই এক আমি ছাড়া তো আর কারও থেকে পাত্তা পাস না । "
"শোন পাত্তা আমি পায় না যে না, উল্টো পাত্তা আমিই দেয়না ।তোরমত হাদাঁরামের খুব সৌভাগ্য যে আমার থেকে পাত্তা পাস ।"
"কি??? আমি হাদাঁরাম??? "
"নয়তো কি??? সবসময় তো ফাকিস আমার চেয়ে ভাল রেজাল্ট করবি । একবারও পেরেছিস। আর শোন তোর মত হাদাঁরামের পক্ষে না, সেটা কখনোই সম্ভব না । "
"আয় বাজি "
"কিসের বাজি "
"তোকে এই পরীক্ষাতেই আমি ফেলব ।"
"হুহ, যদি না পারিস তবে কি দিবি???"
"তুই যা চাস "
"ওকে, আমি রাজী । "

মাএ একটা পরীক্ষা গেল । আরো অনেকগুলো বাকী । ঈশিতা আর আবীর বাকী পরীক্ষাগুলো দিতে থাকুক আমি ততক্ষণে তাদের পরিচয়টা দিয়ে নেই ।

হাসান মোহাম্মদ আবীর, পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে । সাধারনত মানুষ যেদিন প্রথম স্কুল/ কলেজ/ ভার্সিটিতে যায় সেদিন বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকে । কিন্তু আবীর যেদিন ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস করতে যায় সেদিন তার মেজাজ যথেষ্ট খারাপ ছিলো । ট্রেন থেকে নেমে মাত্র রাস্তায় ওঠেছে এমন সময় মাথায় কি যেন পড়লো । হাত দিয়ে দেখে তরল আঠাল জাতীয় পদার্থ । এক বেরসিক কাক ওর মাথায় ইয়ে করে দিয়েছে । এমন সময় হঠাৎ হা হা হাসির শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখল তার দুরাবস্তা দেখে এক মেয়ে হাসছে । মুখে হাত চাপা দিয়ে রেখেছে তারপরেও হাসি থামাতে পারছেনা । আবীরতো পুরাই হতভম্ব । মাথায় কাকের ইয়ে নিয়ে অপলকদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মেয়েটির দিকে। কি সুন্দর মায়াকাড়া চেহারা । একবার তাকালে আর চোখ ফিরিয়ে নেয়া যায়না । আর হাসি… সেতো হাসি নয় যেন মুক্তো ঝরছে ।
"কি… এভাবেই দাড়িয়ে থাকবেন???"
মেয়েটির কথায় সম্বিত ফিরলো আবীরের ।
"মানুষের দুর্দশায় খুব হাসি পায়… না?"
"হাসির ঘটনা হলে হাসবোনা" –এই বলে চলে গেল মেয়েটি ।
ষ্টেশনের টয়লেটে গিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিল আবীর । মাথা পরিষ্কার করে ইয়ে দূর করল কিন্তু মেয়েটিকে দূর করতে পারল না । ক্লাসে যাবার পুরোটা পথেই মাথা জুড়ে ছিল মেয়েটি । আশ্চর্য! একটা মেয়ে এত সুন্দর হতে পারে । আবীরের মনে হল স্বর্গ থেকে একটা পরী যেন ভুল করে পৃথিবীতে চলে আসছে ।

এসব সাত-পাচঁ ভাবতে ভাবতে কখন যে ক্লাসের সামনে চলে আসলো টেরই পাইনি । ক্লাসে ঢুকতে যাবে এমন সময় হঠাৎ একটা দৃশ্য দেখে তার মন নিদারুন আনন্দে ভরে ওঠলো, সাথে একটু অবাকও হলো । কারণ আর কিছুই নয় । তার পরী যে তার ক্লাসেই বসে আছে । মেয়েটিও দেখে ফেলল তাকে । আবার শুরু হলো সে মুক্তো ঝরানো হাসি । পাশেই ছিল মেয়েটির বান্ধবীরা । তারা হঠাৎ এমন হাসির কারণ জানতে চাইলে মেয়েটি সোজা তাকে দেখিয়ে বলল
"জানিস ষ্টেশনে একটা বজ্জাত কাক ওর মাথায় ইয়ে দিয়েছিলো ।"
শুরু হলো সবার অট্টহাসি । বেচারা আবীর লজ্জায় পুরো লাল হয়ে গিয়েছিলো । পারলে ক্লাসের ইট-সিমেন্ট দেয়া মেঝে ভেদ করে ঢুকে যায় । লজ্জাবনত মাথায় ক্লাস থেকে বের হয়ে আসে সে । এরপর থেকে মেয়েটিকে কেবল দূর থেকে দেখত আবীর । পারতপক্ষে কাছে ঘেষত না, আবার কোন কথা বলে সবার সামনে ক্লীন বোল্ড করে দেয় ।

কয়েকদিন পর… ক্লাস শেষ করে ট্রেনের বগিতে বসে আছে আবীর । উদ্দেশ্য বাড়ি ফেরা । এমনিতে ট্রেনে সিট পাওয়া যায় না । আসে একজন কিন্তু ব্যাগ-বই-খাতা দিয়ে সিট ধরে রাখে পাচঁজনের । আজকে চান্স পেয়ে আবীরও দুইটা সিট ধরে রেখেছে । জানালার পাশের সিটটাতে বসে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো বাইরে ।
"একটা সিট হবে" - মিষ্টি সুরেলা কন্ঠটা শুনে ধ্যান ভাঙ্গে আবীরের । তাকিয়েই টাসকি খেয়ে যায় সে । যে পরী থেকে সে ১০০ হাত নিরাপদ দূরত্বে থকত সে পরী এখন তার ১ হাত সামনে দাড়িয়ে । ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটি অনুমতির ধার না ধরেই বসে পড়ল আবীরের পাশে ।
"কি ব্যাপার বলো তো, তুমি আমাকে দেখলে এরকম পালাই পালাই করো কেন ???"
"তুমি যে ধরনের বালাই তাতে তো পালাই পালাই-ই করতে হবে । "
"আচ্ছা যাও, আর হাসবো না । ও তোমার নামটাই তো জানা হলো না ।"
"আবীর, হাসান মোহাম্মদ আবীর ।"
"ঈশিতা, সাদিয়া আফরোজ ঈশিতা ।"
হুম, পরীর নাম তাহলে ঈশিতা, মনে মনে ভাবলো আবীর ।

এরপর থেকে ঈশিতা আর কখনো আবীরকে দেখে হাসেনি । আবীরও আর ঈশিতা থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকেনি । আস্তে আস্তে তাদের দু’জনের মধ্যে ভাল একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে । "তুমি" থেকে "তুই" এ নেমে আসে তারা ।


আজ রেজাল্ট । গত কয়েকদিন টেনশনের চোটে ভালোমতো ঘুমাতে পারেনি আবীর । মনে সারাক্ষন চিন্তা, টপকাতে পারবে তো ঈশিতাকে । এবারো যদি না পারে তাহলে এবারো আর ভালোবাসার কথাটা বলা হবেনা । অনেক আগে থেকেই আবীর বুঝতে পেরছে ঈশিতাকে ভালো লাগে তার । এখন সে ভালো লাগা আর ভালো লাগাতে সীমাবদ্ধ নেই । ভালোবাসা তে রুপান্তরিত হয়েছে । কিন্তু ভয়ে কখনো বলতে পারেনি সেকথা । যদি ঈশিতা ফিরিয়ে দেয় । যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায় । আর তাছাড়া ঈশিতা কথায় কথায় তাকে হাদাঁরাম ডাকে । একটা হাদাঁরামের সাথে সে নিশ্চয় প্রেম করতে চাইবে না । তাই নিজেকে একটু যোগ্য করে নিতে হবে । ঈশিতাকে টপকিয়ে প্রমান করতে হবে সে মোটেও হাদাঁরাম নয় । পরীক্ষা তাকে সে সুযোগ এনে দিয়েছে । এখন রেজাল্টটা ঠিকমত করতে পারলেই হয় ।


ট্রেন থেকে নেমে প্রথমে হলে গেল আবীর । রেজাল্ট দেখে হাসবে নাকি কাদঁবে বুঝতে পারলো না । কারন তার রেজাল্ট মোটামুটি ভালই হয়েছে । কিন্তু ঈশিতার রেজাল্ট এখনো জানা হয়নি । তাই বুঝতে পারছে না জিতল নাকি হারল । হল থেকে সবে বেরিয়েছে এমন সময় ঈশিতার ফোন ।
"হ্যালো"
"কই তুই ???"
"হলে"
"রেজাল্ট দেখেছিস???"
"হুম"
"আমি সুনামী গার্ডেনে আছি । চলে আয় । "


স্হানঃ সুনামী গার্ডেনের উত্তর পার্শ্ব
সময়ঃ বেলা ১১টা


পাশাপাশি বসে আছে আবীর ঈশিতা ।
আবীরের মুখ থমথমে । এবারো পারল না সে । এবারো বলা হলো না মনের কথাটা । আর কত সময় সে অপেক্ষা করবে ।
অন্যদিকে ঈশিতার মুখ রৌদ্রজ্বল সকালের মত ঝলমলে । খুশিখুশি ভাব নিয়েই সে বলল
"এই হাদাঁরাম, মনে আছে তো শর্তের কথা ???"
"আমি বাচিঁ না আমার দুঃখে আর তুই আছিস তোর শর্তে । কিসের শর্ত?" মনে আছে যদিও তারপরেও ভুলে যাবার ভান করলো আবীর ।
"কিসের শর্ত মানে? ভুলে গেছিস ?" রেগে ওঠলো ঈশিতা ।
"বলেছিলি আমি জিতলে আমি যা চাইবো তা-ই দিবি ।"
"তো কি হয়েছে ? তুই স্বর্গ চাইলে তো আর স্বর্গ এনে দিতে পারবো না …………. আচ্ছা ঠিক আছে, বল ।"
কিন্তু কিছু না বলে চুপচাপ চলে গেলো ঈশিতা । আবীরের তখন মনে হলো এতটা করা তার উচিত হয়নি । শর্তে তো ঈশিতাই জিতেছে তাই পুরষ্কার তো তারই প্রাপ্য । আবীর ঠিক করলো ঈশিতা যা চাইবে তা-ই দিবে সে । অসাধ্য কিছু চেয়ে থাকলেও সে সর্বাত্নক চেষ্টা করবে দিতে ।


"আপনি যে নাম্বারে ফোন করেছেন তা এখন বন্ধ আছে অনুগ্রহ করে কিছুক্ষন পর আবার চেষ্টা করুন" – বারবার মহিলার এই এক কথা শুনতে শুনতে আবীরের ইচ্ছা করছিলো তার গলা টিপে ধরতে । সে-ই যে রাগ করে গেলো তার পর থেকে আর কোন খবর নেই ঈশিতার । আবীর পুরো ফ্যাকাল্টি, ক্যান্টিন, ঝুপড়ি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ছোট খাবার দোকানগুলোকে ঝুপড়ি বলে) থেকে শুরু করে মেয়েদের হল পর্যন্ত ঘুরে এসেছে । কোথাও ঈশিতা নেই । ফোনটাও বন্ধ করে রেখেছে । নিজেকেই কষে লাথি মারতে ইচ্ছে করছে আবীরের । তার কারনেই তো হলো সব ।


শেষপর্যন্ত আর কোথাও না পেয়ে ষ্টেশনে বসে আছে আবীর । আড়াইটার ট্রেন ছেড়ে গেছে সেই কবে । মনে মনে যখন কষ্টর আগুনে দগ্ধ হচ্ছে ঠিক তখনই এল কল টা । ডিসপ্লেতে ঈশিতার নামটা দেখেই লাফিয়ে ওঠল আবীর ।
"হ্যালো... এতোক্ষন কই ছিলি ? তোকে আমি সব জায়গায় খুজে মরছি ।"
"আমি ক্যাম্পাসেই ছিলাম, তুই কই?"
"আমি ষ্টেশনে "
"জিরো পয়েন্টে আয়, আমি আসছি "


আবীর জিরো পয়েন্টে এসে দেখে এখনো আসেনি ঈশিতা । দাড়িয়ে রইল সে, অপেক্ষা করতে লাগল । একটু পরেই রিক্সা নিয়ে আসতে দেখা গেলো ঈশিতাকে । আবীরকে দেখে রিক্সা থামালো । কাছে এসে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে বলল
"আমি যা চাই তা এখানে লিষ্ট করে দিয়েছি । যদি দিতে পারিস তাহলে ফরেষ্টী ডিপার্টমেন্টের সামনে আসিস । আমি সেখানে থাকবো ।"
বলেই আবার রিক্সাতে চড়ে বসলো । রিক্সা চলল ফরেষ্টী ডিপার্টমেন্টের দিকে । ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুক্ষন ঠায় দাড়িয়ে রইল আবীর । এরপরই খেয়াল হলো খামের কথা । খুলে দেখল ভিতরে একটা কাগজ যাতে লেখা রয়েছে -


পথচলা নয়, কথাবলা নয়,
অকথার বারোমাসী-
এতো আকুলতা, এতো কৃপণতা
তবু ভালোবাসি
তবু আমি তারে ভালোবাসি

হ্যাঁ, আমি একটা হাদাঁরামকে ভালোবাসি, যে হাদাঁরাম প্রতিবারই চেষ্টা করে কিন্তু একবারও আমাকে ফেলতে পারেনা । কিন্তু সে সত্যিই আমাকে ফেলে দিয়েছে । ফেলে দিয়েছে ভালোবাসার মায়াবী আকুলতায় ।

তোর কাছে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু চাওয়ার নেই আমার ।


স্হানঃ ফরেষ্টী ডিপার্টমেন্ট
সময়ঃ বিকাল ৪ টা


ফরেষ্টী ডিপার্টমেন্টের সামনে গিয়ে দেখে আবীর, পাশ দিয়ে যে সিড়ি নেমে গেছে তার শেষ মাথায় বসে আছে ঈশিতা । সিড়ি বেয়ে ঈশিতার সামনে গিয়ে দাড়ায় আবীর । মায়াময় চোখজোড়া থেকে যে শ্র্রাবনের ঢল নেমেছিলো তা সহজেই অনুমেয় । ঈশিতার একহাত চেপে ধরে আবীর । তারপর তার অশ্রুসিক্ত নয়নের দিকে তাকিয়ে আবীর বলে ওঠে

হ্যাঁ প্রিয়তমা ভালোবাসি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি ।

ভালোবাসার উষ্ণ স্পর্শে শিহরিত হয় ঈশিতা । কপোলে নেমে আসে আনন্দ অশ্রু আর ঠোটে ফুটে ওঠে অপার্থিব আনন্দের হাসি । বিকেলের সিগ্ধ আলো আর মিষ্টি বাতাস ছুয়ে দিয়ে স্বাগত জানায় তাদের ভালোবাসাকে ।।।

লেখক---কিশলয় আকিব

No comments:

Post a Comment