আজকে একটি বট গাছের কাহীনি তুলে ধরছিঃ
দাশপাড়া একটি গ্রাম । ছোট একটি গ্রাম , ত্রিশ ঘরের মত বসবাস , গ্রাম থেকে ১০০মি পূর্বে, কয়েক শত বছরের পুরানো একটি পুকুর । পুকুরের নাম , হাড়া পুকুর । ১৯৭৫ সাল আছির নামের গ্রামের অধিবাসি, বড় ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা চাইলে দেয় না । সে দুঃখে কিম্বা রাগে বটগাছটির নিচে বসে থেকে গাছের একটি ডাল দিয়ে মাটিতে দাগ টানতে থাকেন । হঠাত্ একটি চকচকে কিছু বাহীর হয় । সেটা দেখে , কি সেখা দেখার জন্য আর ও বাহীর করতে থাকেন । এক সময় দেখতে পান , সোনা, হিরা ভতি একটি ডেক্সি , ডেক্সি টি আনেক বড় হবার কারনে আছির উদ্দিন নিয়ে যেতে পাড়বেন না .মনে করে বড় ভাইকে কাছে গিয়ে বলেঃ তোর কাছে টাকা চাইলাম দিলিনা । চল আমার সঙ্গে দেখ কত হিরা আর সোনা । সব কিছু শুনে বড় ভাই আর আছির উদ্দিন সেখান গেলেন । গিয়ে দেখলেন কিছুনেই, হা আছে ডেক্সির মুখের যে ব্যাস ঠিক সে মাপে ডাল দিয়ে দাগ কাটার চিহ্ন । তার পড় গ্রামের অনেক মানুষ তা দেখে এবং সবাই তা বিস্বাস করতে বাধ্য হয় । সকলে ধারনা করেন, অন্য কাওকে বলার কারনে তা আর পেলেনা ।
এর পড় থেকে শুরু হল । অবিস্বাস্য কিছু সত্য ঘটনাঃ ১৯৯৭ শাহীন নামের ১২ বছরের একটি ছেলে গাছের নিচে প্রসাব করে , সেই রাতেই তার ডিম্বকোষ ফুলে যায় । তার কিছু দিন পড় ছরোয়ার নামের এই গ্রামের ছেলা ২২ , তার ও একই অবস্তা । এর শহর থেকে বেড়াতে আসে একদল ছেলে । সবাই রাজশাহী ইউনিভারসিটির ছাত্র । ঘটনাটি শুনে বিস্বাস করে না । রাতে এক জন ছাড়া , গাছের গোড়াই প্রসাব করে । সে রাতেই সবার একই অবস্তা ঘটে । এর পড় একটি ছাগল কিনে ছিন্নি দলে ভাল হয় । তারা ও বিস্বাস করতে বাধ্য হয় ।
গাছটির নিচ দিয়ে চলছে রাস্তা খন্ন কাজ ২০০২ । পুকুর থেকে মাটি তুলে রাস্তা তৈরি হচ্ছে । পুকুর খনন করার সময় কিছু ইট আর পাথর পাওয়া যায় । একটি করি ইট প্রায় ২ হাত লম্বা । গ্রামের মানুষ ইট গুলো দিয়ে যায় । একজন ইট টি টিউবয়েল পাড়ে দিয়ে রাখে । বাড়ির সব মানুষ ঐ খানেই প্রসাব করলে । ছেলে দের ঐ আবস্তা আর মিয়ে দের শুরু হয় পেটে ব্যাথা । আর বাকি যারা ইট গুলো নিয়ে আসে তাদের কে স্বপনে ইটগুলি ফেরত্ দিয়ে আসতে বলা হয় । গ্রামের মানুষ তাই করে ।
একজন বাদশা নামের গ্রামের একটি লোক ১৯৯৩ । রাজশাহী থেকে বাড়ি আসতে ১২ টার মত হয়ে যায় । এক কিল মিটার আগে থেকেই , খুব ভয় পেতে শুরু করে । হঠাত্ দেখে একই গ্রামের করিমের সঙ্গে দেখা । করিম কয় গিয়েছিল জিঙ্গাসা করলে বলে বুনের বাড়ি । করিমঃ আমি ও ভয় পাচ্ছিলাম বাদশা ভাই চলেন যাই । বলে বাড়ি চলে এলো । পড়দিন সকাল করিমের সঙ্গে বাদশার দেখা হলে । গত কালের রাত সঙ্গে গল্প করতে লাগলে বলে । আমি বাড়িতে ছিলাম , বাদশাসে কথা বিস্বাস করে না, করিমের মা বাবা কে জিঙ্গাস করলে বলে । একই রুমু দুটি খাট একটি তে একটি তে বাবা মা । বাদশা সহ সকলে বিষয় টি বুঝতে পাড়ে ।
২০০৮ এক ভোরে মসজিদের মোয়াজেম দেখতে পান । অনেক কাসার থালা বাসন গাছ থেকে কিছু দুরে ছিড়িয়ে ছিটিয় পড় আছে , কয়েক বস্ত কি যেন পড় আছ । সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষ কে জানালে । সবাই এসে তা দেখে এবং এক জনের কাছে গচ্ছিত রাখ । বস্তায় ছিল চাল কাপড় ইত্যাদি । সকালে শুনে পাওয়া গায় শফিকপুড় গ্রামে একটি বাড়ি চুড়ি হয় । ঐ লোকটি কে ডাকা হল এ সব কিছু তার বাড়ি থেকে সিধ কেটে চুড়ি কর হয়েছে । বিষয় টির সত্যতা জাচায় করে তাকে দিয়ে দেয়া হয় ।
দাশপাড়ার বাসিন্দা নাছির , ২০০৬ সালের এক সকালে অঙ্গান অবস্তায় গ্রামের মানুষ বট গাছের পুকুড় পাড় থেকে উদ্ধার করে ।গ্রাম্য ডাক্তার এসে তার গ্যান ফিরান । কি কারনে তিনি অঙ্গান হয়ে ছিলেন , জানতে চাইলে বলেন গা মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে ছিলেন , তার পড় আর কিছু মনে করতে পাড়ছেন না । এ ঘটনার দিন দশেক পড় আমার সঙ্গে যে ভঙ্কর কাহীনি বলে তা তুলে ধরছি ।
নাছির সে রাত পার্শের গ্রামের এক বাড়িতে চুড়ি করে । তার সঙ্গে আর ৭ জন সঙ্গী ছিলেন । এক এক জনের বাড়ি একেক গ্রামে । চুরি শেষে ৭ জনের মধ্যে এক জনের বাড়িতে চুরি করা জিনিস পত্র রেখে , রাত ৩ টার সময় বাড়ি ফিরছিলেন । দু গ্রামের মাঝ রাস্তায় যখন আসেন , বট গাছটির উপর বিশাল একটি আলো উপরের দিকে উঠছে , সে আলো টির এতো উজ্জ্বলতা , আসে পাশের সব গ্রাম স্পট দেখলেন তিনি । আলো টি অনেক উপর দিয়ে তার পিছন দিকে , যে রাস্তায় এসে ছেন, ঠিক সে রাস্তার মাঝা মাঝি এসে কিছু সময় জন্য স্হির হলো । এক সময় নিভে ও গেল । এখানে বলে রাখি আলোর যে উজ্জলতা, যা কিনা ট্রেনের লাইট কে ও হার মানায় । প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলেন নাছির , আর ও ভয় শুরু হল যখন আলো নিভে গেল । আর কিছু দেখতে পাচ্ছেন না । তার পড় ও ভয়ে দৌরদেয়া শুরু করলেন । গাছটির কাছে আসতেই সে চুমকে দাঁড়ান । দেখলেন হঠাত্ কুচ্ছিত কাল, বড় বড় নিলাভ চখ, চুল গুলো জট জট ৩ ফুটের মত লম্বা , মুখের উপর চুল গুলো এসে পড়েছে । ১০/১২ ফুট লোকটি তার সামনে । লোকটিকে দেখা মাত্রই সমস্ত গায়ের লোম গুলো একে বার দাড়িয়ে গেল নাছির , পা দুটি থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে তার । মাথা ঘুরতে শুরু করল , চখ দিয়ে তারা ছুটছে । ধমকের সুরে, লোকটি কঠিন গলা করে বল্ল ! যে বাড়ি থেকে চুরি করছিস তা ফেরত্ দিবি কি না বল ? এই দিবি কিনা বল ? আর ও জোরে ধমক দিল । নাছিরের প্রানটি ভয়ে বাহীর হবার উপক্রম ,নাছির কিছু না বলয় ।এতোই রেগে গেলেন , লোকটি একটি গাছ এক টানে উপরে ফেলে নাছিরের দিকে মারার জন্য তাক করল । তার পড় কিছু মনে নেই । নাছির বলেঃ ভয়ে তার গলাটা এতো শুকিয়ে গিয়েছিল , যে মুখে কোন কথা আসছিল না । নাছির পড় দিন তার সহপাটি চোর দের সব ঘটনা খুলে বলে, সবাই তা এক বাক্য বিশ্বাস করে । বিস্বাস করে এটাও চোরদের ভিতরে নাছিরই ছিল সাহসী ,আর দল প্রধান । তছাড়া চোর দের অনেকে জানেন , চুরির জিনিস পত্র ফেলে রেখে যাবার ঘটনা । নাছির তার পড় থেকে একটি ভাল মানুষে পরিনত হয় । এখন সে তাবলিক জামাত করেন , নামাজ রোজা যার এক মাত্র কাজ । কিন্তু আজ ও ঐ রাতের ভয়টি তার মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি । কারন আজ ও, সে রাতে একা বাহীর হতে পাড় না ।
রাজিব দাশপাড়া গ্রামেরই তরুন, সুন্দর ছেলে ।সময় কাল ২০০৯ । বয়স ১৯/২০ বছর হবে । H.S.C 2nd year এর student । শেরে বাংলা মহাবিদ্যালয়ে পড়াছে , একই কলেজে পার্শের গ্রামর একটি মিয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পক্যে জরিয়ে পড়েন , ১ম বছরেই ( মিয়েটির নাম প্রকাশ করছিনা) । সেই সম্পর্ক্য সময়ের পরিবর্তনে আর ও খনভূত হয় ।
একদিন মিয়েটির সঙ্গে দেখা করে, বাড়ি ফিরতে রাত ১০টা দিকে রওনা দেয় । শিতের দিন গ্রামের পরিবেশ রাত ৮ পড়ই মানুষের দেখাই মিলেনা । তাছাড়া সে সময়টিতে সত্যপ্রবাহ চলছিল । রাত ১০ টায় কুয়াশার খনত্ব বেশি । বলে রাখি গ্রামের এক মাত্র মাটির রাস্তা ঐ বট গাছটির নিচ দিয়ে । রাজিব হেঁটে হেঁটে আসছে , সে যখন রাস্তার মাঝ পথে, যে খানটিতে নাছির আলো দেখে ছিল । ঠিক ঐ যায়গায় আসার পড় একটি মিয়ের কাঁন্নার শব্দ শুনতে পেল । থুমকে দাঁড়ালেন , কারন যে কাঁন্নাটি তিনি শুনছেন, তা অতি পরিচিত । মনে করার চেষ্টা করছেন কার কন্ঠ , হঠাত্ তার মনে পড়ল । যে মিয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক্য সেই মিয়েটিই কন্ঠ তো । মিয়েটি রাস্তা থেকে একটু দূরে জমির আইল অন্য দিক হয়ে (দ্ক্ষিন দিক) বসে কাঁন্না করছে । মিয়েটি গোলাপি রংঙ্গের জামাই পড়ে আছে ।ওরনাটি হালকা নিল রংঙ্গের যা মাথাটি ঝেপে রেখেছে । রাজিব এক সময় গ্রামের মানুষের সঙ্গে ঐ খানে যা ঘটছিল , তা মনে ভুলে গেল । রাজিব সাভাবিক ভাবেই রাস্তা থেকে .মিয়েটির নাম ধরেঃ তুমি বাড়ি যাওনি ? এখানে কি করছ ? আরে কাঁন্না করছ কেন ? মিয়েটি না তাকিয়েই : তুমি আমার এতো বড় সর্বনাশ করলে কেন । আমার বাড়িতে জানা জানি হয়ে গেছে । আমি তোমার সঙ্গে যাবার জন্য বাড়ি থেকে চলে এসেছি । রাজিব কাছে আসতে আসতে কি বল তুমি ? কি করে জানলো ? আমি জানিনা, তুমি আমাকে তোমদের বাড়িতে নিয়ে চল ! রাজিবঃ এ সময় তোমাকে কি করে নিয়ে যাব ? বাবা মা বড় ভাই ভাবিকে, কি উত্তর দিব , তুমি বল ? মিয়েটিঃ আমি জানিনা , আমি কোথায় যাব ? আমি এ মুখ বাড়িতে আর দেখাতে পাড়ব না । কথা গুলো হচ্ছে আর দু জনই দক্ষিন দিকে দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলছে । রাজিব বার বার মিয়েটির দিকে তাকিয়ে কথা বলছে । কিন্তু ওরনাটি এমন ভাবে দিয়ে রেখেছে চুল আর ওরনা ছাড়া মুখ দেখতে পাচ্চে না । রাজিবঃ চল কিছু হবেনা ।আমি তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি । মিয়েটি না তুমি আমাকে তোমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে কি না বল ? রাজিবঃ তুমি বোঝার চেষ্টা কর ? বলে মিয়েটির স্পর্শ করার জন্য এগিয়ে গেলে , মিয়েটি রাজিবের বাড়ির রাস্তায় এগুতে থাকে মাটির রাস্তা দিয়ে । রাজিব আনেক জোরে জোরে এসে মিয়েটির গতি রোধ করার চেষ্টা করবে কিন্তু এক সঙ্গে হতে পাড়ছে না । রাজিব এক সময় দৌরের মত করে এক সঙ্গে হল । তখন তারা ঐ বট গাছির নিচে, চলে এসেছে । রাজিবঃ শোন তুমি বলে মিয়েটির গায়ে হাত দিয়েই চমকে উঠেই , হাত সরিয়ে নিল । আগুনে হাত দিলে যে রকম ছেকা লাগে ঠিক রকম একটা ছেকা খেল , হাত পা থরথর করে কাপছে । এবার মিয়েটি রাজিবের দিকে হতেই ! ! রাজিব দেখল , আগুনে ঝলসে গেলে যে রকম ভয়ঙ্কর লাগে সে রকম বিভস্য একটি মুখ , রাজিবের গলা শুকাতে শুরু করছে ,, চখ দুটি অনেক খন্দকের মধ্যে বসানো গরুর চখের মত বড় বড় সাদা সাদা । রাজিবের দিকে এগিয়ে আসছে ধরার জন্য । আমাকে নিয়ে চল তোমাদের বাড়িতে . দুই হাত প্রসারিত করে । রাজিব সমস্ত শক্তি দিয়েঃ ও বাবা মা বলে চিত্কার দিয়ে, দিল দৌর। মিয়েটিও দৌরে আসছে কিন্তু মাটিতে নেই । রাজিব আর ও জোরে দৌর দিয়ে । মা. . . . বলে চিত্কার দিয়ে উঠানে এসে গ্যান হারাল । মাথায় পানি দেওয়া হল , চখ মুখে পানির ঝটকা দেয়া হল , নাহ গ্যান ফিরছেনা । ২ ঘন্টা পড় গ্যান ফিরল । অনেকে সঙ্গে সঙ্গে জিঙ্গাস করল, কি অকাম কুকাম করছিস বল ? তাছাড়া কাওকে তো কাওকেই ভয় দেখায় না । রাজিবঃ প্রসাব করে পানি নেয়া হয়নি সে জন্য মনে হয় । সত্যটা রাজিব জানালেন আমাক । সে দিন রাজিবের অপবিত্র ছিল ।
No comments:
Post a Comment