Responsive Ads Here

26 January 2012

প্রেত আত্তা পর্ব ১

নওগাঁ জেলার গিরিগ্রাম নামের গ্রামে থেকে কাহীনি টা নেওয়া ১৯৯৮ ।

মান্নান বয়স ২৫ । অনেক সাহসী, সততা যার এক মাত্র নিষ্টা । মান্নার পিতা মুনা কবিরাজ এলাকার সব চাইতে বড় ওঝা (সাপের বিশ তুলে সুস্থ করে দেয়া) । এছাড়া অনেক কিছু জান্তেন বলে এলাকার লোক জন জানেন । মূল কাহীনি কথা আসিঃ ১৯৯৫ সাল থেকে জমি নিয়ে গ্রামটি দু ভাগে বিভক্ত হয়ঃ
মান্নান ছিলেন গরীব মানুষের পক্ষে । জমি ডাকাতরা কোন ভাবেই জমিটি হতে নিতে পাড়ছিলনা । একদিন হঠাত্‍ করে সুস্হ মান্নান , গুরতর অসুস্থ হলেন । গ্রাম্য ডাক্তার হল , ডাক্তার বল্লেন তাকে পয়েজন খায়ানো হয়েছে । অনেক মানুষ বাড়িতে, অনেকেই তাকে জিঙ্গাসা করছে , কোথায় কি খেয়েছে সে, বা কে খাওয়াছে । কোন কথায় বলতে পারলেন না মান্নান । গরীব মানুষ গুলো তাকে ডাঃ এর কাছে নিয়ে যাবার জন্য রাজশাহী দিকে রওনা দিলেন । বর্ষা কাল চার দিক থই থই পানি । নৌকা যোগে অত্রাই গিয়ে ট্রেনে যেতে হবে । ১৫ জন মানুষ মিলে অত্রাই এর অভিমুখে যাত্রা শুরু করলেন ।যখন রওনা দিলেন , সূর্য্য তখন অস্ত যাবে যাবে । রাত ৮ টার ট্রেনে রাজশাহী যেতে হবে । নৌকা যখন অত্রাই পূরনো রেল স্টেশনে পৌছল, ছট ফট করতে লাগ লেন , আর কিছু বলার চেষ্টা করতে করতে মারা গেলেন । গরীব মানুষ গুলোর কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে এলো । সত্য আকাশ ভারি হলো দক্ষিন আকাশে কালো মেঘ , শো শো করে বাতাস বয়তে লাগল । রাত তখন ভারি হতে শুরু করেছে । যে ট্রনটিতে যাবার কথা ছিল তা অনেক আগেই চলে গেছে । মেঘের এ অবস্তা দেখে ফিরার জন্য বাহীর হতে সাহস পাচ্ছেনা কেউ । অপেক্ষা করতে লাগল , শুরু হল বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন । ছাতা মাথায় দিয়ে কেউ ভিজেয়ে নৌকায় বসে রইল ।মান্নানের লাশটি বৃষ্টিতে ভিজতে লাগল 
 
অনেক সময় ধরে বৃষ্টি হবার পড় , বাতাস ,বৃষ্টি কুমে আসল কিন্তু বিজলি চোমক কম হচ্ছে । মঝে মঝে বিকট শব্দে মেঘের গর্জন ।
তার পড় ও সবাই মিলে বাড়ি ফিরে আসার জন্য মাঝিকে বল্লে , মাঝি নৌকা যখন ছাড়লেন রাত তখন ১১ টা । তো বিশাট মাঠ পানিতে ভরপূর । মনে হয় সমদ্রের মধ্যে নৌকা চলছে , রাত ১১টা ,গ্রামের পরিবেশ তার মধ্যে বর্ষা কাল । একদম অন্ধকার বিজলির আলো আর একটি টসলাইট সঙ্গি । নৌকা মাঠের মাঝামঝি আসতেই আটকে গেল । লগি পানেতে দিবার পড় দেখা গেল ৪ হাত পাড়ি । সবার প্রচন্ড ভয় পেয়ে, দোয়া পড়তে লাগল । ১৫ জন মানুষ অথচ সবায় অসহায় কারও কিছু করার নেয় । হঠাত্‍ তারা দেখতে পেল , বাঘের মত কি যেন দৌরে আসছে নৌকার দিকে । বিজলি চমকানো আলোতে সবাই তা স্পষ্ট দেখতে পেল । নৌকার ১৫ হাত দূরে ডুপ দিল । সবাই এই সব দেখে কয়েক জন চিত্‍কার করতে শুরু করল । ভয়ে সবায় কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা । এক জন সবাই কে নিষেধ করলেন চিত্‍কার করতে । দোয়া পড়ছে সবাই হঠাত্‍ নৌকা যে খানে আটকে ছিল তা, সরে গেল নৌকা চলতে শুরু করল । এবার শুরু হল নৌকা থেকে ১০ হাত দূরে পানির শব্দ । দশ মন ওজনের কোন পাথর পানিতে ফেলা হলে যে শব্দ হবে ঠিক সে রকম । দুটি বাঘ পানির উপর মারা মারি করছে । এক জন নৌকায় আসতে চাইছে অন্য জন বাঁধা দিচ্ছে । অনেক জোরে জোরে ঢেউ এসে নৌকায় আঘাত করছে , মাঝে মাঝে ঢেউ এর করনে নৌকায় পানি উঠছে । কাঁন্না শুরু করে দিয়েছে সবাই , কোন কিনারা পাচ্ছে না , আর এ দিকে চলছে ধপাস ধপাস শব্দ. 
 
এক সময় শব্দ আর নেয় । দু প্রানি হারিয়ে গেল , তার পড় যা দেখতে পেল ! নৌকায় লাশটি যে খানে ছিল নেই । এমনি নৌকায় লাশ টি নেই । সবাই আর কিছু ভাবার মত পরিবেশ নেই । কি করবে সবাই মাঝি নৌকা ফেন জাগিয়ে রেখে নৌকা দাঁড় করিয়ে দিল । এক জন হঠাত্‍ দেখতে পেল নৌকার অনেক আগে কি যেন ভাসছে , নৌকা যতো ঐ বস্তুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় বস্তুটি ও দূরে চলে যায় । ১ ঘন্টার উপর চলে রকম । আবার ও আকাশে মেঘ কাল হয়ে আসতে লাগল । মাঝিকে বলা হল বাড়ি ফিরার জন্য , মাঝি নৌকা বাড়ির পথে আসতে শুরু করল । সবার এখন একটাই চিন্তা কাজ করতে লাগল বাড়িতে গিয়ে কি বলবে ?
আর কিছু দৌর পড় যখন একটা গ্রাম সে দিকে নৌকা নিয়ে যাচ্ছে মাঝি । এবার মাঝি দেখল শ্রোতের বিপরীত দিক থেকে লাশটি নৌকার কাছ আসছে । একে বারে যখন নৌকার কাছে এলো । ভয়ে কেউ লাশটিকে ছুতে সাহস পাচ্ছেনা । দু জন সাহস করে নৌকায় লাশটি তুলে নিল । এবার বাঁকি সবাই যা দেখল লাশের গায়ে পানি নেই । খুব অবাক হল । আবার বৃষ্টি পড়া শুরু হল । নৌকাটি ও গ্রাম পৌছাল । নৌকা থেকে নেমে , কোন বাড়ি দেখতে পাচ্ছেনা কেউ বৃষ্টি ও বাড়ছে । কে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না । দু তিন করে গাছের পার্শে পার্শে দাঁড়াল । বৃষ্টি থেমে গেলে সবাই নৌকায় এল ১ ছাড়া । বিশেষ কারনে তার নাম বলব না
সবাই আর ও এক চিন্তায় পড়ে গেল । মাঝি আর এক জন ছাড়া সবাই দলবদ্ধ হয়ে তা কে খুজতে বের হল । মাঝি নৌকা গাছের সাথে বাধার জন্য নিচে নামতেই অনেক ধপাশ করে শব্দ হল দেখলে তার যিনি ছিলেন পানিতে পড়ে গেছে । সাতরে উঠে এলেন । মাঝিকে বল্লেন কে যেন ধাকা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে । তার পড় দু জন দেখলেন লাশটি আবার ও উধাও । চিত্‍কার শুরু করে দিলেন । সবাই ফেরত আসতে ৫ মি লাগল । এসে দেখল লাশটি নৌকাতেই আছে । আর যে লোকটি হারিয়ে গিয়ে ছিল । নৌকা থেকে কিছু দূর আগে অধেক পানিতে আর বাকি অধেক শুকানে পড়ে আছে । সবাই মিলে নৌকায় তুলে নিল কিন্তু সেন্স নেই । সে ভাবেই নৌকায় তুলে রাত ৩ দিকে গ্রামে ফিরল । এদের মধ্য এক জন সবাই কে বল্ল যা ঘটেছে সে কথা প্রকাশ না করতে । আর যে ব্যক্তির সেন্স নেই তার কথা বল্লে । লাশ দেখে ভয়ে পেয়ে এ রকম হয়েছে । পুলিশের ঝামেলা না করে ,গ্রামের মানুষ লাশটি কে কবর দেয়া হল , পড় দিন সকালে ।
যে লোকটির সেন্স ফরত্‍ আসল দুপুড়ে , নওগাঁ সদর হাসপাতালে । তার ডান হাতটি ভেঙ্গে গেছে । হাতটি কেটে ফেলতে হয়েছে ।

সে লোকটি এখন ভিক্ষা করে ।তার কাটা হতটি দেখিয়ে । সে ঐ হাতে তাকে পানের ভিতর করে কি যেন গাছের শিকর খায়েছিল । ১০,০০০টাকার বিনিময়ে ।

তাকে আমি জিঙ্গাস করছিলাম আপনার হাত কি করে ভাংল ?
ঐ রাত সে যখন গাছের পার্শে দাড়িয়ে ছিল বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য । মান্নান এসে তাকে জোর করে জঙ্গের মধ্য নিয়ে যায়, এমন জঙ্গল আগে সে কখনো দেখিনি । ঐ দুই বাঘ কাছে । বাঘ গুলো ও মানুষের মত করে কথা বলতে লাগল । বাঘ গুলো বলছিল এতো লোক থাকাত নৌকায় তোকে কিছু বলিনি । এখন তোকে কে বাঁচায় ! আর অন্য টি বলছে সে ভুল করেছে তাকে সাজা দেয়া হোক , মেরে ফেল্লে ওর আর আমাদের মধ্য তফাত্‍ কি থাকবে ? মান্নান দ্বিতীয় জনের কথায় মাথা ঝাকাল । এবার কি শাস্তি দেয়া যায় ?
বাঘ বল্লঃ ঐ হাতটি ভেঙ্গে দিতে । আর সারা জীবন ভিক্ষা করতে ঐ কাটা হাত দেখিয়ে । কিন্তু ঐ চাল কিম্বা টাকা খেতে পারবেনা । তা আবার অন্য কাওকে দান করতে হব । সে এখন ও তাই করে ।

আমি তাকে প্রতিঙ্গা করেছিলাম । তার এ ঘটনা কাওকে বলব না ।
লোকটি দু আগে মারা গিয়েছে তাই
 

No comments:

Post a Comment