Responsive Ads Here

19 January 2012

সত্য ভুত

অত্রাই, রানীনগর (নওগাঁ) থানাটির নাম শুনে থাকবেন । ২০০৫ সালের ঘটনা , সর্বহারা নামের দলটি প্রতি নিয়ত মানুষ খুন করত । তাদের মাঝে এক জন শাখাওয়াতঃ ১১ ই জানুয়ারি ০৫ সন্ধা ৮ সময় গলা কেটে খুন করে । তো ১২ তাং তার লাশটি মর্গে পৌছে । লাশটি ফেরত আনার জন্য গাড়ি খোজার জন্য বাহীর হলে, গাড়ি মিলানো এক সময় অসম্ভব হয়ে হয়ে পড়ে । অবশেষে এক জন ডোম বলেন আনিস রহমান একটি লোক কে বলে চেষ্টা করতে । আনিস রহমান কে যখন পাওয়া গেল সময় রাত ১২:৩০ কিছু কম বেশি হবে । এখানে বলা দরকার আনিছ রহমানের বয়স ৫০ বছর । সে ভুটভুডি চালক । আর সে শুধু এ ধরনের লাশ কে বহন করত এবং মো
টা অংকের টাকা নিত । কিন্তু শাখাওয়াত কে বহন করায়ে তার জীবনে অভিশপ্ত অধ্যায় হবে 
আনিছ রহমান কে শাখাওয়াতের লাশটি উঠিয়ে দেয়া হল । তালায় (বাঁশের তৈরি বিছানা) দিয়ে মুড়ে দিয়ে । গাড়িটি যখন ছাড়ার জন্য আনিছ রহমান কে বলা হল ,রাত তখন ১/২ টা । ইনজিন টি যখন চালু করতে গেল , ইনজিন টি অনেক টাইট হয়ে আছে চাঁকা । আনিছ তো চালু করতেই পাড়লেন না । জিনারা লাশটি নিতে এসে ছিলেন তাদের মধ্যে দু তিন ও পাড় লেন না । তার পড় আছিন হঠাত্‍ দেখলেন চাঁকার সাথে হাতটি আটকে আছে সে জন্য চালু হচ্ছে না । তো হাতটি তালায় খুলে ভিতরে দিয়ে , গোল করে তালায়টি বেঁধে দেয়া হল । তার পড় মিশিনটি চালু করে যাত্রা শুরু করলেন রাত ২.৩০ দিকে । যে লোকটি শুধু লাশ বহন করেন , সে যে খুব সাহসী হবেন তা বলার অবকাশ রাখেনা । কেউ নেই গাড়িতে ।লাশে কে নিতে জিনারা গিয়ে ছিলেন । ভয়ে কেউ গাড়ির সঙ্গে আসেন নি ।মর্গে থেকে গাড়ি টি রাস্তায় তুলে চলা শুরু করলেন । শহরের মধ্য রাস্তা , মানুষ শূন্য আর কুয়াশায় রাস্তার লাইট গুলো ও মৃদু দেখাচ্ছে ।যে নদীটি নওগাঁ শহরকে দুই ভাগ করেছে , সে নদীর উপরে ব্রিজের মাঝা মাঝি যায়গায় আসতে আনিছ গাড়িতে ঝাকুনি উনভব করলেন । গাড়ি থামালেন মৃদু আলো পিছন ফিরে দেখলেন , লাশের বাঁধন গুলো খুলে গেছে । উঠে এসে শক্ত করে বাধলেন লাশটিকে । আবার পথ চলা শুরু করলেন.

 
ব্রিজটি পাড় না হতেয় আবার ও সে ঝাকুনি । আবার ও পিছন ফিরে দেখলেন, নাহ ! সব ঠিক আছে । পথ চলা শুরু করলেন , সান্তাহার ,রানীনগর যে পায়পাস রাস্তা আছে সে পথটি ধরে । বাতাশ বয়ছে, শিতেচর প্রকোপ ও বেশ , মাঝে মাঝে কুয়াশার যেন একদম ঘিরে ফেলছে ৫ মিঃ এর ও কম দূষ্টি সীমানা । খুব ধিরে গাড়ি নিয়ে আসতে বাদ্ধ আনিছ । গাড়িটি সান্তাহার ছাইলো যে খানে আছে আসতেয় প্রচন্ড ঝাকুনি , ঝড়রের মত বাতাশ , আর কুয়াশায় নিজের হাতটি দেখতে পাচ্ছেনা আনিস । সাহসী মানুষ তার পড় ও একে বারে ভয় পেয়ে গেলেন । শুরু করলেন যে টুকু দোয়া জানান পড়তে । গাড়িটি থামিয়ে গাড়ি থেকে না নামিয়ে বসে থাকলেন । এবার উনভব করলেন গাড়ির উপর অনেক ভারি কিছুর অস্তিতের । পিছনে না ফিরে দোওয়া কালিমা পড়ছেন , ১০ মি পড় আস্তে আস্তে বাতাশের গতিবেগ কুমে গেল , কুয়াশা ও কেটে গেল । পিছন না ফিরেই ভুটভুডি গাড়িটি চালাতে শুরু করলেন । কিন্তু গাড়ি টা যেতে চায় না, ২০/২৫ মন ওজনের কিছু টানছে গাড়ি যেন । তো এক সময় ভারি বস্তুটি মনে হয় উধাও হল । গাড়ি টি সাভাবিক চলতে শুরু করল ।
রক্তদয় বিলের পার্শ দিয়ে চলছে ভুট ভুডি মি ১৫ পড় "হাল হালিয়া" স্টেশনের পৌছতেই , মিশিনটি বন্ধ হবার উপক্রম । কি হল দেখার জন্য মিশিনের দিকে তাকিয়ে দেখলেন , ঐ হাতটিই চাঁকার ঐ যায়গায় আটকে আছে । আনিছ এতো ভয় পেল যে শিতেও তার সমস্ত শরীর ঘেমে উঠল । হাত পা থরথর করে কাপছে ভয়ে.
নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম । মনে সাহস নিবার চেষ্টা করেছে । মনে মনে ভাবর্ছঃ অনেক লাশ তো এই গাড়ি করে নিয়ে গিয়েছে , তা হলে ! ভয় কি ? সাহস করে যখন পিছন ফিরলঃ
দেখল একটি আলো অথচ কালচে , দূত বিলের মধ্য চলে গেল, যখন আলোটি যাচ্ছিল তখন পানিতে শব্দ হচ্ছিল ,স্পষ্ট শুনতে পেল আনিছ । তার পড় লাশের দিকে চখ যেতেই আবার ও আচকে উঠল আনিছ ! তিনটা বাঁধনই খোলা , আর বুকের মাঝে রক্তে ভেজা, মরা মানুষের রক্ত গুলো লালচে অথচ পানির মত । কিন্তু এ রক্ত একে বার তাঁজা । ৭ / ৫ না ভেবে শুধু এই টুকু ভাবল , এখানে থাকলে মূত্যু তার হবেই । দৈর দিয়ে যাবার রাস্তা ও নেই । সাহস নিচে হাতটি ভিতরে দিয়ে, আর ও শক্ত করে বাঁধলেন ।
শুরু করলেন গাড়ি চালানো । গাড়ি এসে পৈছল রানীনগর স্টেসনে । দেখলেন কিছু মানুষ ঘুমচ্ছে । গাড়ি দার করিয়ে বসে রইলেন ৩০ মি মত ।
এর মাঝে পেশাব করেন রেল লাইনের পার্শে । আনিছের মনে হল আর একটু পড় ফজরের আজান হবে । তাই আবার ও ভটভডি চালু করে যাত্রা শুরু করলেন । রানীনগর পড় হয়ে , বৃটিশ আমলের করা একটি ব্রিজ হাতিশুরার ব্রিজ নামে পরিচিত । এই ব্রিজটি রক্ত দয়ের বিলের শেষ সিমানা । গাড়ি যখন সে খানে পৌছল.
ব্রিজের কাছে আসতেই ছাইলো তে পরিবেশটি হয়েছিল ঠিক সে রকম হলই হল ।এবার চারদিক এতো কুয়াশা যে ভুটভুডির লাইট জ্বলছে কি না নিভা বোঝার যায় না ।
হঠাত্‍ পিঠে কারো স্পর্শ উনভব করল আনিছ, সমস্ত শিরা উপশিরা চখ কান সব কিছু দিয়ে গরম বাতাস বাহীর হতে শুরু করল । কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না , আস্তে আস্তে স্পর্শটি আনিছের বুকের দিকে আসছে , হাতদিয়ে ধরে দেখল সেই হাত । হাতটি তার গলার দিকে এগুচ্ছে , শত চেষ্টা করেও থামাতে পারছেনা । গাড়িটি ও একবার আটকে গেল । হাতটি আটকাতে পাড়ছেনা । এবার পিছন ফির দেখল ,লাশটি বসে থেকে তাকে ধরেছে , দু চখে কিছু নেই, একে বার খন্দক হয়ে রক্ত গরাচ্ছে । বুকটাও ফাঁকা কলিজা, ফেরসা কিছু নেই । লাশের বসে থাকা দেখেই, আনিছের প্রানটি বাহীর হবার উপক্রম , দম বন্ধ হয়ে আসছে , শেষ চেষ্টায় দু হাতদিয়ে হাতটি ঝিটকানি মারন আনিস । হাতটি সরে গেল ,সঙ্গে সঙ্গে পিঠে এতো জোরা থাপ্পর মারল আনিছ বাবা মা বলে চিত্‍কার করতে লাগল । এর পড় আর ও এক থাপ্পর মারল গাড়িতে । আনিছ সেনস্লস হলেন । যখন সেন্স ফেরত পেলেন ১৩ দিন অতিবাহীত হয়ে গেছে ।
রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে । বুকে পিটে ব্যানডেস , আর ও কিছু দিন পড় বাড়ি ফিরে আসলেন আনিছ রহমান । আমি সহ অনেকে অনেক লোক তাকে দেখায় জন্য ভির করেছিল । আনিছ রহমানে পিঠে একথাবা মাংস নেই ,আর তার বুকে এবং তার পার্শে আগুন পুড়ে গেলে যে রকম হয় সে সব ক্ষত স্থান দেখার জন্য ।
এ কথা গুলো ছিল আনিছ রহমানের ।
বাকীঁ টা আমি বলছিঃ

সকালে মটরসাইকেল নিয়ে নওগাঁ যাবার পথে , মানুষের ভির দেখে দাড়ালাম । লাশের গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে আছে । লাশের চখ এবং কলিজা শিয়াল, কুকুর এসে খেয়ে গেছে । আর মিশিনের গরম পানি পড়ার কারন আনিছ রহমনের পিঠে এবং বুকে এরকম হয়েছে । এ গুলো ছিল আমি সহ সবর ধারনা । কিন্তু দীঘ ৫ বছর পড় আনিছ রহমানের দেখা মিলে নানা বাড়িতে । তার কাছ থেকে পূড় ঘটনা শোনার পড় দু রাত আমি ঘুমতে পাড়িনি ।

No comments:

Post a Comment