২০০৪ সালে যখন সর্বশেষ গিয়েছিল তখনই এই ঘটনার সূত্রপাত :
ওর নানাবাড়ির সামনে একটা বিশাল বাশ ঝাড় ছিল ।
সেবার যখন সে তার নানাবাড়ি গিয়েছিল তখন সেই গ্রামে এক আলোরোন সৃষ্টি কাড়ি ঘটনা ঘটিয়েছিল রহিম নামের এক যুবক ।সে ঐ গ্রামের এক কৃষক কন্যাকে ভালবাসার প্রস্তাব দিয়ে তারহাতে চড় খেয়েছিল ।
পরিনামে রহিম ঐ কন্যাকে একদিন তাকে ধর্ষণ করেছিল ঐ বাশ ঝাড়ের নিচে ।
এই ঘটনা কিছুদিন পর থেকেই নাকি ঐ কৃষক পরিবারের সদস্যরা তাদের মেয়েয় অস্তিস্ব খুজে পেত ঐ বাশ ঝাড়ে ।তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায় ।একদিন রহিমও নিখোজ হয়েছিল পরে তাকে অনেক খোজাখোজির পর ঐ কৃষকের পরিত্যক্ত ঘরে মূত অবস্থায় পাওয়া যায় ।
এনিয়ে গ্রামে তীব্র আলোড়ন এই সময় আমার ফ্রেন্ড[নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক] ঐ গ্রামে গিয়ে হাজির হল ভার নানাবাড়িতে ।
যাহোক নানা ভাই তাকে অনেক বারন করেছিলেন যে রাতে একা বেড় হতেনা ।
তাই ইচ্ছা সত্বেও ঐ মেয়েটির দেখা পেল না ।(কথিত ছিল রাতে কেউ যখন ঐ বাস ঝাড়ের কাছ দিয়ে যেত সে নাকি ঐ মেয়েটিকে দেখত)।
যাহোক রাতে বেড় না হলেও একদিন সে গিয়েছিলো পাশের গ্রামে যাত্রা দেখতে তা শেষ হতে হতে প্রায় রাত আটটা বেজে যায় ।সেদিন ফিরতে তার নিজেরই কেমন যানি একটু ভয় ভয় হচ্ছিল ।এবং সেই রাতের আর কোন পথিকও পাওয়া গেল না । তাই বাধ্য হয়েছিল তাকে একা ফিরতে হল ।হাটতে হাটতে সে যখন রহিমে কবরে কাছ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই বুকের মধ্য ছ্যাত্ করে উঠল ।কিন্তু পিছন ফিরে সে যখন একটা কুকুরকে তার পিছু পিছু আসতে দেখল তখন তার মনে একটু সাহস হল ।এবং দুশ্চিন্তা এড়ানোড় জন্য একটা গানো গাইতে লাগলো ।ঠিক যখন সে ঐ বাস ঝাড় টিকে পেছনে ফেলে তার নানাবাড়ির গেটে ডুকার জন্য পা রাখল তখন সে স্পষ্ট শুনতে পেল একটা মেয়ে কন্ঠ বলছে কোথায় যাচ্চ ভাই[আমার বন্দুটির নাম ধরে পর্যন্ত সে ডেকেছিল]।
পেছনে তাকিয়ে তার রক্ত পানি হয়ে গিয়েছিল এ যে সেই কৃষক কন্যা ।
ইশারা করে তার দিকে ডাকছে ।এক অজানা কারনেই আমার বন্দু বলেছিল=তখন আমার ছুটে পালানোর মত কোন শক্তিই ছিলনা ।তার পর দিন নাকি কিছু লোক আমায় ঐ কৃষকের বাড়িতে অচেতন অবস্থায় আবিষ্কার করে ।
চেতনা ফেরার পর আমার এটুকুই মনে ছিল আমি তার পিছু পিছু ঐ বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম ।তখনই হঠাত্ কোথা থেকে যেন কুকুরটি তার উপর যাপিয়ে পড়ে । সেই কুকুরটির আর ঐ মেয়েটির তান্ডব লড়াই শুরু হয়েছিল।পরে আর কিছুই মনে নেই ।।
No comments:
Post a Comment