জে,এম,বি যখন নওগাঁ জেলার রানীনগর থানায় সর্বহরা নিধন কর ছিলেন সে সময়ের ঘটনা টি । রানীনগর থানার একটি গ্রাম "ভিটি" । ভিটি গ্রাম আলিয়া মাদ্রাসায় ক্যাপ করছিল বাংলা ভাইয়ের দল । সে মাদ্রাসার একটি পায়খানার হাউজ থেকে ১০০ টির উপর মাথার খুলি এবং হাড় পাওয়া গিয়েছিল । মাদ্রার একটি মাটির রুমে যেখানে মানুদের মারা হয়েছিল । তা এখন একটি অতঙ্কের নাম । সে কাহীনি তুলে ধরব ।
জি,এম,বি চলে যাবার পড় । মাদ্রাসাটি আবার সাভাবিক ভাবে ক্লাস শুরু হল । ঐ মাটির ঘরে হতো আলেম এর ক্লাস । ৬০ জনের মত ছাত্র সে ক্লাসে । একদিন এক ছাত্র এসে জানালেনস , সে রাতে স্বপ্ন দেখেছেন , এ রুমে ক্লাস না করতে । শব্দ করলে , ক্লাসের ছেলেরা চিত্কার করলে, এক দল মানুষের অসুবিধা হয় । কে শোনে কার কথা , ছেলেটিকে বকাবকি করা হয় । এখানে বলে রাখি সে সময় ও কঙ্কাল গুলো উদ্ধার করা হয়ে ছিলনা । একদিন একটি ছেলে টিফিনের সময় শব্দ করে কি যেন করছিল ।হঠাত্ ছেলটি অঙ্গান হয়ে যায় ।চঙ্চল ছেলেদের কারও গায়ে জ্বর এটা সেটা লেগে থাকতে লাগল । স্বাভাবিক বিষয় বলে কেউ কিছু মনে করত না ।
রুমটির পার্শে আর একটি রুম ছিল , সে খানে নাইট গার্ড থাকার ব্যাবস্থা করা হল । বলে রাখি নতুন নাইট গাড রাখা হয়েছিল । আগের নাইট গাড চাকুরি ছেড়ে দিয়েছে । কেন ছেড়েছে তা সকলের অজানা । প্রথম রাত, রাত তখন ১২.৩০ পার্শের রুমে মানুষ হেঁঠে যাবার শব্দ শুনতে পেয়ে, ভাবলেন কেউ হয়তো চুরি করার জন্য এসেছে । তো আস্তে আস্তে টস লাইট না জ্বালিয়ে জানালা দিয়ে চখ রাখলেন । না কেউ নেই । এবার টস জ্বলিয়ে দেখলেন , না কেউ নেই একটি বিড়াল ইদুর ধরার জন্য বসে আছে । আবার রুমে এলেন একটু পড় একই শব্দ শুনে আবার ও দেখলেন নাহ ঐ বিড়াল এবার বিড়াল টিকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দিলেন । রাত ১ টা খুব ধিরে ধিরে কাঁন্নার শব্দ ভেসে আসছে । এক সময় মনে হচ্ছে পার্শর এক সময় তা অনেক দূর । টিনের চালে মাঝে মাঝে ইদুর দৌড়া দৌড়ি করছে , শব্দ হচ্ছে জোরে টস্ জালিয়ে সেটা দেখলেন । আবার শুনতে পেলেন এক জন নায় আনেক মানুষের কাঁন্নার শব্দ । কান পেতে শোনার চেষ্টা করলেন । মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে অনেক দূরে কুকুর কাঁদছে । একটু ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু তা কিছুনা মনে করে । এক সময় ঘুমিয়ে পড়লেন । ৩ টার পড় কি যেন শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল , এবার সে অগের মতই কাঁন্না , এবার মনে হল, কে যেন কাওকে পিটাচ্ছে আর কয়েক জন কাঁন্না করছে । কি করবে ভেবে না পেয়ে সে রাত টি ঐ ভাবে কেটে গেল । সকালে দু এক জনকে বিষয় টি জানালে কেউ স্মৃতিভ্রম বলে উরিয়ে দিল । পড় দিন এক জন সঙ্গী করে নিলেন , আর সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন কথা বলার জন্য নয় গান শোনার জন্য । রাত ১০ টার দিকে দু বন্ধু এসে রুমে বসে গান শুনতে লাগল ।১১ টার দিকে জোরে জোরে কে যেন চালের টিন পিটাচ্ছে । তো গান শোনা বন্ধ করে পূর মাদ্রাসা ঘুরে এলেন .না কেউ নেই । আবার শুরু করলেন গান শোনা । দু বন্ধুই শুনতে পেলেন । পাশের রুমে কে যেন কাকে মারছে , অর্তনাদ করে কাঁদছে । দু বন্ধু গিয়ে দেখল না কেউ নেই । এবার দু বন্ধু মনে মনে ভয় পেলেও কেউ কাওকে কিছু বলছে না । তো আবার ও গান শোনা শুরু করলেন. . .
৩০ মি পড় , মাদ্রাস পঠের এক পার্শে ছোট ছোট আনেক তাল গাছ ছিল, সে খান থেকে তিন চার জন মানুষ ফিসফিস করে গল্প করছে । দু বন্ধুয় তা স্পশ্ট শুনতে পাচ্ছে । নাইট গার্ড সে বুলু কে , দেখে আসবি নাকি কে ওখানে । বুলু যাবার জন্য বাহীর হলে, নাইট গার্ড জাকিরঃ দরকার নেই যাবার । বুলুঃ দূর , বলে চলে গেল । মাঠটি অনেক বড় , সে কারনে জাকির আর দেখতে পেল না । রুমের দরজা টা খোলে । জাকির স্পশ্ট দেখল কে এক জন দরজার সামনে দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটে গেল । হাত টসলাইট জালিয়ে দরজার দিকে ধরল । বাহীর হতে সাহস পেল না । চিত্কার করে বুলুকে ডাকল । অনেক দূরথেকে বুলুর আওজ এলো । আসছি । ১ মি পড়ই দেখল ৫/৬ মানুষ দরজার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে । জাকির কে কে ? উত্তর নেই , জাকির ভয়ে ভয়ে দরজার কাছে এসে দাঁড়াল । দেখল ওনারা ল্যাকটিন মধে চলে গেল । সবাই এক ল্যাকটিনেই যেতে দেখল । ভয়ে গা ঠান্ডা হয়ে আসছিল । বুলু বলে আবার ডাক দিল , একটু পড় বুলু কি রে চিল্লাস কেন ? এমনি বলে জাকির । এতো সময় লাগে ?
রাস্তায় কয়েক জন বসে মনে হয় গল্প করছে । রাত তো সে জন্য মনে হল এখান । জাকির কোন জানাল না বুলু । সে যদি না থাকে সে জন্য । বুলু এসে মোবাইলে X দেখা শুরু করল । জাকির নিষেধ করলে । তুই যে সব সময় দেখিস ? জাকির কিছু না বলে । চুপ থেকে ঐ ল্যাকটিনের কথা ভাবছে । হঠাত্ টিনের চালের উপর ইট পড়লে যে রকম জোরে শব্দ হয় ঠিক সে রকম জোরে শব্দহল । দু জনেই চুমকে উঠলেন । দু জনের বাহীর হবেন, সে মূহতে আবার ও শব্দ । দৌর দিয়ে মাঠের মধ্যে গেলেন । তার পড় ঘরের দিকে টস জ্বালেতেই দেখলেন ১ টা বেঁল পড়ে আছে । জাকির চিন্তা করছেন বেঁল পড়ার শব্দ এতো জোরে হতে পড়ে না । সে কিছুই না বলে চুপ থাকলেন । বুলুঃ তুই যা ভিতু । দৌর দিলি কেন । জাকির তুই কেন দিলি । তোর দেখা দেখি চল ! বলে আবার রুমে এসেই । বুলু আবার এক্স চালু করল ।
রাত তখন ১ টার মত । আবার ও টিনে চালে আর ও জোরে শব্দ করে কিছু পড়ল , একটু পড় । বুলু এবার একা বাহীর হল ।জাকির যেতে চাইলে , তুই থাক আমি যাচ্ছি । বাহীর হল লাইট হাতে নিয়ে । রুমের পিছন দিকে দেখে এলো কেউ নেই । যখন ফিরে আসছিল লাইট আর জলছে না । চাঁদের নেই ,কিন্তু আকাশে অনেক তারা থাকার কারন একটু একটু দেখা যাচ্ছে । লাইট জলছে না কেন ? সে জন্য লাইটে টোকা দিয়ে জালানোর চেষ্টা করছে । হঠাত্ করে ল্যাকটিনের দিকে চখ যেতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল । কথা বলার মত , সেন্স আর নেই । যা দেখলঃ মাথা ছাড়া মানুষ হেটে যাচ্ছে । সেই মানুষের সঙ্গে অনেক কয়ে জন মানুষ যাচ্ছে কার হাত নেই , পা নেই শূন্যের উপর দিয়ে চলছে, হঠাত্ ডান দিকে কি যেন , গায়ে ছোঁয়া ছোঁয়া চখ ফেরাতেই চৌমকে উঠল, দেখল বস্তহীন এক মেয়ে । গায়ের রং উজ্জল ফর্সা । ডাকছে ঐ ক্লাস রুমের দিকে । হাত পা চখছেনা । ডাকার পড় না আসাতে দেখে , মিয়েটি আবার ফিরে আসতে শুরু করল । অনেক মানুষের কাঁন্নার শব্দ শুনতে পেল বুলু । সে কি করুন কাঁন্না । এবার মিয়েছি একে বারে সমনে এসে কিছু বলতে চাইল । সে মূহতে সেন্স হারিয়ে ফেল্ল । অনেক সময় পাড় হয়ে যাচ্ছে, বুলু আসছে না । বাহীর হল জাকির , যেন চলে যাচ্ছে কে কে কোন কথা বলছে না । জাকির ও বুঝতে পাড়ল বস্তহীন একটি মিয়ে মানুষ, টয়লেটের দিকে হেটে যাচ্ছে । ভয়ে চিত্কার শুরু কর দিল , এতো জোরে জোরে চিত্কার করছে , পাশের গ্রামের মানুষ ও ছুটা এল । চিত্কার করেতে জাকির ও সেন্স হারিয়েছে । গ্রামার মানুষ দেখল জাকির এক যায়গায় , বুলু এক জায় গায় পড়ে আছে । সবাই মনে করল , চোর , ডাকাত মারপিট করে ফেলে রেখে গেছে । মাথায় পানি দিবার পড় সেন্স ফিরে পেল । তুলে তারা যা দেখেছে তার কিছু কিছু অংশ , গ্রামের মানুষ তাতেই ভয় পেল । হুজুর দের বিষয়টি জানানো হলে । কাওকে বলতে নিষেধ করলেন এতে কর মাদ্রার ছাত্র কোম হবে বলে । চাকরি ছেড়ে দিলেন জাকির , বুলু অসুস্হ হয়ে পড়লেন । ১৫ দিন পড় , পুলিশ , গোযেন্দা পুলিশের ইনফম পেয়ে । এলেন ঐ ক্লাস রুম । খনন করা হল । সে খানে পাওয়া গেল কিছু মাথার খুলি আর হার , আর টয়লেটের টাংকি ভর্তি হার আর খুলি । গ্রামের মানুষের মুখে শুনছি ঐ মিয়েটি একটি বামদলের সদস্য ছিলেন । একদিন বিকেলে তাকে ধরে নিয়ে আসেন বাংলা ভাইয়ের লোক জন , তার পড় তাকে আর দেখা যায় নি ।
No comments:
Post a Comment