লিখেছেন : সাদিক (২০০০-২০০৬)
বিভাগ : আলোচনা
আমাদের বয়সের অথবা আমাদের থেকে একটু যারা বড় আছেন ছোট্ট বেলায় ঝড়-বৃষ্টির রাতে অথবা সন্ধ্যায় দাদা-দাদী,নানা-নানীর কাছে ভুতের গল্প শুনেনি এমন মানুষ মনে হয় নেই।ছোট্টবেলায় আমাদের কল্পনা জগতের একটা বড় অংশ দখল করে ছিল এই রূপকথার দৈত্য-দানব ,ভূত-প্রেত।আমাদের মধ্যে আজও অনেকেই আছেন যারা এই অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা গুলো বিশ্বাস করেন।আবার অনেকেই আছেন যারা এই বিষয় গুলো হেসেই উড়িয়ে দিই।আজকে একটু জানার চেষ্টা করা আক আসলে কারা ঠিক বিশ্বাসীরা না অবিশ্বাসীরা।
আমাদের বিজ্ঞান মূলত তিনটা প্রধান জিনিস এর উপর চলে -পর্যবেক্ষণন,বিশ্লেষণ,ফলাফ
ল।এ ছাড়া বিজ্ঞান কিছু বিশ্বাস করেনা।সেই দিক থেকে চিন্তা করলে বিহ্জান এই সব অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা বিশ্বাস করেনা।এই একটা থিওরি দিয়ে পরা বিষয়টা ভুল প্রমাণিত করা যায়না কারণ খোদ বিঞ্জানেই অনেক কিছু আছে যার কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু আমরা তা ধরে কাজ করি যাকে আমরা বলি হাইপোথিসিস(hypothsis)।তাহল ে বিঞ্জান নিজের প্রয়োজনে এমন কিছু জিনিষ ব্যাবহার করছে যার কোন অস্তিত্ব নেই।তাহলে শুধু বিঞ্জানের দোহাই দিয়ে এতদিনের একটা বিশ্বাসকে অমূলক বলা যায়না।বিঞ্জানতো আল্লাহ(GOD) এর অস্তিত্বতে বিশাবাস করেনা কিন্তু তার অস্তিত্ব তো প্রমাণিত।তাহলে কি সব সত্যি??????????
মানুষ কখনও থেমে থাকেনা মানুষ অজানাকে জানার চেষ্টা করে।এই ঘটনাগুলো যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে সাইকোলজির একটি শাখায় যাকে
আমরা বলি প্যারাসাইকোলজি(parapscycol ogy)।আমাদের দেশে একটা খুব সাধারন এধরনের সমস্যা হল ভূতে ধরা,জিনে ধরা।তারপর ওঝা দিয়ে ঝারা আমাদের পুরোন রীতি।আজ এই ভূতে ধরার ফরেনসিক টেস্ট হযে যাক।
প্রথমেই দেখি ভুতে ধরার রোগী কারা?
আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলেই ভূতে ধরা রোগী বেশি দেখা যায়।এধরনের ভূতে ধরার কাহিনী যারা শুনেছেন একটা জিনিস কখনো খেয়াল করে দেখেছেন কিনা জানিনা গ্রামের মেয়েদের ভূতে ধরে বেশি,শুনেছেন কোন ছেলে কে ভূতে ধরেছে?
ভুতে ধরার প্রধান লক্ষণ হল এমন কিছু ব্যবহার করা যা সাধারন অবস্থায় ঐ মেয়েটার পক্ষে করা সম্ভব নয় যেমন পুরুষের গলায় কথা বলা,কারণে-অকারণে হাসা।সবচেয়ে মজার বিষয় হল এইসব ঘটনা হওয়ার পর অধিকাংশ
ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটি অঞ্জান হয়ে যায়।
সাইকোলজিতে একটা রোগ আছে যাকে বলে দ্বৈত সত্ত্বা(dual personality)।এধরনের রোগীরা নিজেদের কোন অপারগতা থেকে,নিজের কোন বাধা থেকে
নিজের ভেতরে এমন একটি সত্ত্বা তৈরী করে যে এসব দুর্বলতা থেকে মুক্ত।সে সাধারন অবস্থায় যা করতে পারেনা এই সত্ত্বা তা করতে পারে।আর এই সত্ত্বার
যখন প্রয়োজন থাকেনা রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়,ওই সময়ের কথা মনে থাকেনা।
ভূতে ধরা রোগীদের ক্ষেত্রেও এই একই গটনা গুরো ঘটে।আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা বিভিন্ন দিক থেকে নানা বঞ্চনার শিকার।তার বয়সী একটা ছেলে যা পারে তার কিছুই সে করতে পারেনা।তার মধ্যে একটা জিনিষ চলে আছে তাহলে বোধ হয় ছেলে হওয়াই ভাল ছিল।পারিবারিক অবহেলা তার এই কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয়।একসময় সে নিজের ভিতরে একটা পুরুষ সত্ত্বা তৈরী করে নেয়।
আসলে আমি প্যারাসাইকোলজি নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি।সাইকোলজি যুক্তি দিয়ে যে সব ঘটনার ব্যাখা দিতে পারেনা প্যারাসাইকোলজি তার একটা সন্তোসজনক ব্যাখা দেবার চেষ্টা করে,কোন সময় পারে আবার কোন সময় পারেনা।
আমাদের দেশে স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধ পাওয়ার ইতিহাস তো বেশ পুরোন।আমি এরকমন বেশ কিছু জায়গায় গেছি এবং অবাক হয়েছি মানুষ কত সহজে বিশ্বাস করে।
তাহলে প্রশ্ন আসে যায় তাহলে আমাদের যে বিশ্বাস গুলো এতদিন ধরে চরে আসছে সব মিথ্যা।আসলে সব উত্তর এর পরেও কিচু প্রশ্ন থেকে যায়।আমি নিজেই এরকম একটা ঘটনার মুখোমুখি হযেছি একবার।প্যারাসাইকোলজিতে যাদের এধরনের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা থাকে তাদের বলে সাইকিক।এরা নিজেরই বোঝে তারা সাধারন না তাই সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখে।
একবার একলোক আমাকে খবর দিল কুমিল্লাতে এরকম একজন আছে যে অতীত ভর্বিষ্যত সব বলে দিতে পারে।ওখানে যেয়ে দেখি বিশাল ভিড় লোকজনের আমি ভাবলাম আর একটা ভন্ডের কাছে আসলাম।সাদারণত এসব জায়গা একটা ছোট্ট খুপরি ঘরের মত হয়।আগরবাতি জ্বেলে আরো একটা অপার্থিব পরিবেশ সৃর্ষ্টির চেস্টা করা হয়।ভিতরে যেয়ে অবাক হলাম,দুইটা জমজ ছেলে বসে আছে একজন আমার দিকে তাকিয়ে হাসল,আর একজন বলল
“আপনি তো কিছু বিশ্বাস করেন না কেন আসছেন।”
আমার অবাক লাগল এরা দুইজন কেন ?
পাশে ওদের মা ছিল সে বলল দুই ভাইয়ের একজন বোবা। কিছুই বলতে পারেনা,জন্ম থেকেই আমার অনেক সিনিয়র মেডিকাল পড়েছেন তারা হয়ত জানেন জমজদের ক্ষেত্রে জেনেটিক কোড একরকম হয় সেহেতু জন্মগত কারনে একভাই বোবা হলে একই সমস্যা আর একজনের ও হওয়ার কথা।এখানে তা হয়নি।
তারা আমার অনেক প্রশ্নের জবাব দিল।একটা জিনিষ আমার মনে হল,আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো বোবা ছেলটা কারন আমার সাথে কথা বলার সময় বোবা ছেলটা দুইবার উঠে গেল এইসময কোন প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি।
আমি যখন চলে আমি ওই ছেলের মাকে বলেছিলাম আমি বোবা ছেলেটার সাথে কিছুক্ষন একা থাকব।অনেকক্ষণ বসে থাকলাম।যখন উঠে চলে আসব তখন আমি স্পষ্ট শুনলাম ছেলেটা আমাকে বলল বাড়ি যান আপনার বাড়িত কারো অসুখ।শোনার সাথে সাথে আমি ঘুরে দাড়াই দেখি তার ঠোটে সেই হাসি।
মজার ব্যাপার হল বাসায় এসে জানলাম আমার নানা খুব অসুস্থ।
আমি এই ঘটনার অনেক ব্যাখা দাড় করানোর চেষ্টা করছি।তবুও যখন ছেলেটার হাসির কথা মনে পড়ে মনে হয় কিছু হয়ত আছে যা আমরা জানিনা,জানতে পারবনা।
এরকমন সাইকিকদের ঘটনা প্রচুর আছে।আছে অনেক বিস্ময়
থাক আজ আর না আগামীর জন্য জমা থাক সে গল্প।
বিভাগ : আলোচনা
আমাদের বয়সের অথবা আমাদের থেকে একটু যারা বড় আছেন ছোট্ট বেলায় ঝড়-বৃষ্টির রাতে অথবা সন্ধ্যায় দাদা-দাদী,নানা-নানীর কাছে ভুতের গল্প শুনেনি এমন মানুষ মনে হয় নেই।ছোট্টবেলায় আমাদের কল্পনা জগতের একটা বড় অংশ দখল করে ছিল এই রূপকথার দৈত্য-দানব ,ভূত-প্রেত।আমাদের মধ্যে আজও অনেকেই আছেন যারা এই অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা গুলো বিশ্বাস করেন।আবার অনেকেই আছেন যারা এই বিষয় গুলো হেসেই উড়িয়ে দিই।আজকে একটু জানার চেষ্টা করা আক আসলে কারা ঠিক বিশ্বাসীরা না অবিশ্বাসীরা।
আমাদের বিজ্ঞান মূলত তিনটা প্রধান জিনিস এর উপর চলে -পর্যবেক্ষণন,বিশ্লেষণ,ফলাফ
মানুষ কখনও থেমে থাকেনা মানুষ অজানাকে জানার চেষ্টা করে।এই ঘটনাগুলো যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে সাইকোলজির একটি শাখায় যাকে
আমরা বলি প্যারাসাইকোলজি(parapscycol
প্রথমেই দেখি ভুতে ধরার রোগী কারা?
আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলেই ভূতে ধরা রোগী বেশি দেখা যায়।এধরনের ভূতে ধরার কাহিনী যারা শুনেছেন একটা জিনিস কখনো খেয়াল করে দেখেছেন কিনা জানিনা গ্রামের মেয়েদের ভূতে ধরে বেশি,শুনেছেন কোন ছেলে কে ভূতে ধরেছে?
ভুতে ধরার প্রধান লক্ষণ হল এমন কিছু ব্যবহার করা যা সাধারন অবস্থায় ঐ মেয়েটার পক্ষে করা সম্ভব নয় যেমন পুরুষের গলায় কথা বলা,কারণে-অকারণে হাসা।সবচেয়ে মজার বিষয় হল এইসব ঘটনা হওয়ার পর অধিকাংশ
ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটি অঞ্জান হয়ে যায়।
সাইকোলজিতে একটা রোগ আছে যাকে বলে দ্বৈত সত্ত্বা(dual personality)।এধরনের রোগীরা নিজেদের কোন অপারগতা থেকে,নিজের কোন বাধা থেকে
নিজের ভেতরে এমন একটি সত্ত্বা তৈরী করে যে এসব দুর্বলতা থেকে মুক্ত।সে সাধারন অবস্থায় যা করতে পারেনা এই সত্ত্বা তা করতে পারে।আর এই সত্ত্বার
যখন প্রয়োজন থাকেনা রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়,ওই সময়ের কথা মনে থাকেনা।
ভূতে ধরা রোগীদের ক্ষেত্রেও এই একই গটনা গুরো ঘটে।আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা বিভিন্ন দিক থেকে নানা বঞ্চনার শিকার।তার বয়সী একটা ছেলে যা পারে তার কিছুই সে করতে পারেনা।তার মধ্যে একটা জিনিষ চলে আছে তাহলে বোধ হয় ছেলে হওয়াই ভাল ছিল।পারিবারিক অবহেলা তার এই কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয়।একসময় সে নিজের ভিতরে একটা পুরুষ সত্ত্বা তৈরী করে নেয়।
আসলে আমি প্যারাসাইকোলজি নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি।সাইকোলজি যুক্তি দিয়ে যে সব ঘটনার ব্যাখা দিতে পারেনা প্যারাসাইকোলজি তার একটা সন্তোসজনক ব্যাখা দেবার চেষ্টা করে,কোন সময় পারে আবার কোন সময় পারেনা।
আমাদের দেশে স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধ পাওয়ার ইতিহাস তো বেশ পুরোন।আমি এরকমন বেশ কিছু জায়গায় গেছি এবং অবাক হয়েছি মানুষ কত সহজে বিশ্বাস করে।
তাহলে প্রশ্ন আসে যায় তাহলে আমাদের যে বিশ্বাস গুলো এতদিন ধরে চরে আসছে সব মিথ্যা।আসলে সব উত্তর এর পরেও কিচু প্রশ্ন থেকে যায়।আমি নিজেই এরকম একটা ঘটনার মুখোমুখি হযেছি একবার।প্যারাসাইকোলজিতে যাদের এধরনের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা থাকে তাদের বলে সাইকিক।এরা নিজেরই বোঝে তারা সাধারন না তাই সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখে।
একবার একলোক আমাকে খবর দিল কুমিল্লাতে এরকম একজন আছে যে অতীত ভর্বিষ্যত সব বলে দিতে পারে।ওখানে যেয়ে দেখি বিশাল ভিড় লোকজনের আমি ভাবলাম আর একটা ভন্ডের কাছে আসলাম।সাদারণত এসব জায়গা একটা ছোট্ট খুপরি ঘরের মত হয়।আগরবাতি জ্বেলে আরো একটা অপার্থিব পরিবেশ সৃর্ষ্টির চেস্টা করা হয়।ভিতরে যেয়ে অবাক হলাম,দুইটা জমজ ছেলে বসে আছে একজন আমার দিকে তাকিয়ে হাসল,আর একজন বলল
“আপনি তো কিছু বিশ্বাস করেন না কেন আসছেন।”
আমার অবাক লাগল এরা দুইজন কেন ?
পাশে ওদের মা ছিল সে বলল দুই ভাইয়ের একজন বোবা। কিছুই বলতে পারেনা,জন্ম থেকেই আমার অনেক সিনিয়র মেডিকাল পড়েছেন তারা হয়ত জানেন জমজদের ক্ষেত্রে জেনেটিক কোড একরকম হয় সেহেতু জন্মগত কারনে একভাই বোবা হলে একই সমস্যা আর একজনের ও হওয়ার কথা।এখানে তা হয়নি।
তারা আমার অনেক প্রশ্নের জবাব দিল।একটা জিনিষ আমার মনে হল,আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো বোবা ছেলটা কারন আমার সাথে কথা বলার সময় বোবা ছেলটা দুইবার উঠে গেল এইসময কোন প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি।
আমি যখন চলে আমি ওই ছেলের মাকে বলেছিলাম আমি বোবা ছেলেটার সাথে কিছুক্ষন একা থাকব।অনেকক্ষণ বসে থাকলাম।যখন উঠে চলে আসব তখন আমি স্পষ্ট শুনলাম ছেলেটা আমাকে বলল বাড়ি যান আপনার বাড়িত কারো অসুখ।শোনার সাথে সাথে আমি ঘুরে দাড়াই দেখি তার ঠোটে সেই হাসি।
মজার ব্যাপার হল বাসায় এসে জানলাম আমার নানা খুব অসুস্থ।
আমি এই ঘটনার অনেক ব্যাখা দাড় করানোর চেষ্টা করছি।তবুও যখন ছেলেটার হাসির কথা মনে পড়ে মনে হয় কিছু হয়ত আছে যা আমরা জানিনা,জানতে পারবনা।
এরকমন সাইকিকদের ঘটনা প্রচুর আছে।আছে অনেক বিস্ময়
থাক আজ আর না আগামীর জন্য জমা থাক সে গল্প।
আপনের নিজের ঘটনাটাই বানানো......যদি এমন শক্তি-ই থাকে তাহলে এই শক্তিওয়ালারা কেনো পৃথিবীর যুদ্ধ, দারিদ্র, সন্ত্রাস,ধর্ষণ,ঘুষ,এতো এতো সামাজিক,রাজনৈতিক খুন খারাবি, প্রাকৃতি দুর্যোগ বন্ধ করে না কেন ???????????????????????????????????? শুধুই এরা মুচকি মুচকি হাসতে পারে , শান্তি প্রতিষ্ঠ প্রতিষ্ঠ করতে পারে না্..................। 66mamun@gmail.com
ReplyDeleteপ্যরাসাইকোলজি নিয়ে পড়তে চাই,,,কিভাবে কি করতে হবে?ছোট থেকেই জোক এটার প্রতি
ReplyDeleteএর পর থেকে কি আপনি এটা মানেন যে যারা ভবিষ্যৎবলে দিতে সক্ষম তারা আসলেই সাইকিক??
ReplyDeleteএর পর থেকে কি আপনি এটা মানেন যে যারা ভবিষ্যৎবলে দিতে সক্ষম তারা আসলেই সাইকিক??
ReplyDelete