Responsive Ads Here

19 January 2012

সত্যর পরিণতি...

শুরুটা ছিল একটু অন্য রকম । বন্ধুত্বটা ছিল ঝগড়ার উৎস । তাদের বন্ধুত্বটা
শুধু যেন ঝগড়ার জন্য । একদিন ঝগড়া না করলে পেটের ভাত হজম হত না । ভালবাসা
মানুষের মাঝে পরিবর্তন আনে এটাই প্রকৃতির নিয়ম ।

২০১০ এর h.s.c পরীক্ষার্থী শুভ্র । বেশ চন্চল আর ডানিপিটে প্রকৃতির ।
মায়ের কোনো কথা শোনে বলে মনে হয়না । সারাটা দিন internet আর বাহিরে ঘুরে
ঘুরে হৈ হুল্লোর করা । এতেই ও যেন কিসের সুখ খুঁজে পেত ।

কাব্য ! নামটা একটা ঝগড়াটে আর ডানপিটে প্রকৃতির মেয়ের নাম । মায়ের খুব
বাধ্যগত । মানুষিকভাবে বেশ চাপা স্বভাবের । বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করে ও কি
যেন সুখ খুঁজে পায় ।

শুভ্র আর কাব্য । facebook এ তাদের পরিচয় । সারাটা দিন facebook এ বসে
ঝগড়া করা ছিল এদের রউতিনে । কাব্যর সাথে পরিচয়ের আগে শুভ্র একটা মেয়েকে
ভালবাসতো । যদিও সেই মেয়েটি অন্য একটা ছেলেকে ভালবাসতো । তাই শুভ্র সেই
মেয়েটির মন জয় করতে পারেনি । এজন্য শুভ্র প্রায় বিষন্ন থাকত । তার
বিষন্নতা কাটাতেই যেন কাব্যর আগমন । কাব্যর সাথে কথা বলতে বলতে শুভ্র
স্বাভাবিক জীবনকে ফিরে পায় । সে কাব্যর বন্ধুত্বকে অনুভব করতে শুরু করে ।
facebokk এ কথা বলতে বলতে একদিন সে কাব্যর mobile number চেয়ে বসে ।
শুভ্র ভাবতে থাকে "এটা কি করলাম আমি ?" আসলে সে আগে কখন কোনো মেয়ের
number চাইনি । ওপাশ থেকে কাব্যর উত্তর পেয়ে শুভ্র হাফ ছেড়ে বাঁচল ।
কাব্যর তাকে জানায় "তোর number টা দে আমি call দিচ্ছি" শুভ্র তার number
টা কাব্যকে দেয় । এর পর প্রায় ৩ দিন তারা facebook এ কথা বলে ।

৩ দিন পর :

শুভ্র: তুই আমাকে call দিলি না কেন ?
কাব্য: তুই অপরিচিত তাই ।
শুভ্র: তাহলে আমার সাথে কথা বলছিস কেন ?
কাব্য: কারণ তুই আমার facebook friend ।
শুভ্র: তুই এখন আমাকে call না দিলে কথা বলবি না ।
কাব্য: দাড়া । দিচ্ছি ।

কাব্য তার মায়ের mobile থেকে শুভ্রকে call করে । ৫ মিনিটের কথায় তারা বেশ মজা পায় ।

শুভ্র: তোর পাশে কে ?
কাব্য: আম্মু।
শুভ্র: problem নেই তো ?
কাব্য: না । বল ।

আরো অনেক কথা । সেদিনের পরে তারা মাঝে মাঝে mobile এ কথা বলত । মজার বিষয়
হল তারা দিনে দিনে কথার পরিমাণ বাড়াতে থাকে আর এটা তারা গুনে গুনে রাখে ।
৫ মিনিট, ১৯ মিনিট, ৩৪ মিনিট, ৪৫ মিনিট্, ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট এভাবেই তাদের
কথা বলার সময় বাড়তে থাকে ।

এক সময় কাব্যকে শুভ্র ভালবাসতে শুরু করে । সে কাব্যর প্রতি অনেক বেশী
দুর্বল হয়ে পড়ে ।

শুভ্র: তোকে একটা কথা বলতে চাই ।
কাব্য: বল ।
শুভ্র: তোকে ভালবাসি ।
কাব্য: আমিও ।
শুভ্র: আমাকে lover হিসেবে ভালবাসিস ?
কাব্য: না ।
শুভ্র: আমি তোকে lover হিসেবে ভালবাবাসি ।
কাব্য: আমার পক্ষে possible না ।
শুভ্র: কেন ?
কাব্য: আমি facebok কে বিশ্বাস করি না ।
শুভ্র: আমি যে তোকে truely ভালবাসি ।

এভাবেই শুভ্র কাব্যকে বুঝাতে শুরু করে । শুভ্র suicide করবে এমন হুমকিও
দেয় কাব্যকে । সেদিন থেকে কাব্য শুভ্রর সাথে contact করা বন্ধ করে দেয় ।
শুভ্র মিথ্যা নাটকের আশ্রয় নেয় । অন্য একটা facebook id খুলে সেটা থেকে
কাব্যর একটা friend কে বলে "শুভ্র suicide করার try করেছে । এখন সে
hospital এ" । কাব্য তার friend এর কাছ থেকে এমন খবর শোনার পর শুভ্রর
সাথে contact করার try করে । কিন্তু শুভ্র mobile ধরে না ।

আসলে সে কাব্যকে বঝাতে চেয়েছিল সে আসলেই তার জন্য suicide করতে চেয়েছে ।
৩ দিন পর শুভ্র প্রায় অসুস্থের মত কন্ঠ নিয়ে কাব্যকে call করে । কাব্য
phone ধরেই খুব কষ্ট পেয়ে শুভ্রর সামনে কেঁদে দেয় । শুভ্র সেদিন প্রথম
কাব্যর জন্য কেঁদে দেয় । এটা ভেবে যে "এটা আমি কি করলাম । ওকে পাওয়ার
জন্য মিথ্যা ?" এর পর কাব্য একটা মিথ্যা ভালবাসায় তাকে জড়িয়ে নেয় । প্রায়
৭ মাস মিথ্যা প্রেমের পর কাব্য তাকে ভালবাসতে শুরু করে । শুভ্র আগে থেকেই
কাব্যকে সত্যি ভালবাসত ।

শুভ্র এটা জানত না যে কাব্য তাকে ভালবাসে না । পরে কাব্য আর শুভ্র একে
অপরের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতে পারত । কাব্যর গভীর ভালবাসা দেখে
শুভ্র আর সহ্য করতে পারেনি ।

এতদিন শুভ্র তার নিজের সম্পর্কে কাব্যকে অনেক মিথ্যা বলেছে । আসলে সব
মিথ্যাই ছিল কাব্যকে খুশি করার জন্য । শুভ্র ভেবেছিল "ও আমাকে সত্যি
ভালবাসে । আজ আমি কাব্যকে সব সত্যি বলে দিব । এভাবে মিথ্যা ভালবাসা হতে
পারে না"

শুভ্র এটা ভেবেই কাব্যকে call দেয় । সে সব কিছু কাব্যকে জানায় । কাব্য
এসব জানার পর খুব কষ্ট পায় । সে আর শুভ্রকে বিশ্বাস করতে পারে না । তার
শুভ্র যে তার সাথে মিথ্যা বলেছে । আজ শুভ্র ভালবাসে তার কাব্যকে । "কাব্য
কি একটাবার আমাকে chance দিতে পারে না ?" এটা আজ শুভ্র ভাবে ।

এটা দুজনের জীবনের সত্য ঘটনা । তোমরা বল কি ভুল ছিল শুভ্রর ? কাব্যর কি
উচিত না শুভ্রকে একটা chance দেযা ? শুভ্র ভালবাসে জন্যই সত্য বলেছে ।
আমার বন্ধুটির জন্য তোমাদের সাহায্য চাই । তোমাদের বিবেক কি বলে ?

আজ শুভ্র brain cancer এর প্রাথমিক অবস্থায় । অতিরিক্ত tension nd
problem এর কারণে সে আজ এত দুর । তার বাম চখ ধীরে ধীরে নিস্তব্ধ হয়ে
যাচ্ছে । শুভ্রর family জানেনা । এটা আমি শুধু জানি । আমি ওর family কে
জানাতে সাহস পাচ্ছি না । কাব্য এটা জানেনা । কারণ শুভ্র চাই না । শুভ্র
আর কাব্যকে ফেরাতে চায় না। শুধু চায় সে যেন তাকে ভালবাসে আগের মত । তোমরা
বল আমি কি করব ?

লিখেছেন-Oporahno Ayon

No comments:

Post a Comment