Responsive Ads Here

20 January 2012

এই আমার ভালোবাসা

মনে খুব আকাঙ্খা নিয়ে বসে থাকা এই সময়ে আজ...। যার জন্য বসে থাকা সে হয়ত এখনই আসবে ঐ পথটা ধরে । সেই পথে
কত সময় তাকিয়ে থাকতে হবে তা জানা নেই । তবুও এই তাকিয়ে থাকায় যে কি একটা অমৃত লুকিয়ে আছে কে
জানে। অবশেষে তার দেখা মিলে যায়। খুব সুন্দর লাগছে তাকে দেখতে আজ। তাই বলে যে আগে অসুন্দর লাগতো তা কিন্তু না। কল্পনা
নিয়ে বসে ছিলাম ও নীল রঙের শাড়িটা পরে আসবে। তা যদিও পড়েনি। তবুও বেগুনি রঙের শারিটায় ওকে যা দেখাচ্ছিল তা প্রকাশের ভাষা কি আছে?চোখ দুটো যেন আর বুঝতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তার চলে যাওয়া অবদি চেয়ে থাকা। খুব ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল তাকে। ইচ্ছেটা মনের ভেতরই কবর দিয়ে দিলাম ।


আবার আর একটি নতুন দিন এর অপেক্ষা। সময় যেন খুব সহজে যাবে না। তবুও অপেক্ষা করতে হবে।
এই দূর থেকে দেখার অনুভুতিতেই কি যেন লুকিয়ে আছে ।
মনের ভেতর খুব একটা সাহস কাজ করছে । সেই অপরুপ মুখখানি দেখার পর ইচ্ছে হচ্ছে না বাড়ি যেতে এখন ।
ভাবছি কি করবো । পিছু নেবো ? নাহ এটা হয়তো বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে । যদি ও দেখে ফেলে হয়তো খুবই খারাপ
ভাববে ।
অনেক চেষ্টা করার পরও মনকে বুঝাতে পারলাম না । পকেটটায় হাত দিয়ে একটা জিপ্পু আর ৫০ টা খুচরা টাকা ছাড়া
কিছুই পেলাম না । আমার অবশ্য আর দরকার ও নেই ।এখান থেকে ওর কলেজ পর্যন্ত যেতে এতেই হয়ে যাওয়ার কথা ।


ও হয়তো অনেক দূর চলে গেছে। কিন্তু এখান থেকে হেটে ও বাসস্ট্যান্ড এ যেতে যেতে আমি ওকে রিকশা নিয়ে ধরে ফেলতে পারবো। সেই প্রচেষ্টাই হলো। একটা রিক্সা-ও পেয়ে গেলাম।
“মামা একটু তারাতাড়ি যাও।“
কিছুক্ষন বাদে ওকে দেখতে পেয়েই রিক্সাকে থামাতে বললাম । ও এখনও বাস স্ট্যান্ড এ পৌছায়নি ।
ওকে দেখে মন টা অনেকটা উৎফুল্ল হয়ে উঠলও বটে ।

ভাবছি কি করবে। ও কি বাস এ উঠবে? নাকি রিক্সা নেবে? যদি বাস এ উঠে তখন? এই ভেবে রিক্সা টা
ছেরে ওর পিছু হাটা ।

অনেকটা থেমে থেমে হাটছিলাম যেন বুঝে না যায়। মাঝে মাঝে মনের উপর খুবই রাগ হয়। যদিও মনের কোন দোষ
নেই। সুন্দর মুহূর্ত গুলো কেন যে এত তাড়াতাড়ি কেটে যায় । দেখতে না দেখতে বাস স্ট্যান্ডে এসে পরলাম ।

আমার মনটা আবার খুশিতে ভরে উঠল । আমি আরও কিছু সময় হাতে পেয়েছি ওকে দেখার । আর মনে মনে
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কতেছিলাম যেন আজ সারাদিন ও বাস স্ট্যান্ড এ গাড়ি না আসে । কিন্তু এটা সত্য হওয়ার নয় ।
আমার মুখটা হতাশায় গ্লানিত হয়ে গেল । ওর আর পিছু নেওয়া হল না । ও রিক্সা না পেয়ে একটা বাসেই উঠে গেল ।
তবুও মনটায় অনেকটাই আনন্দের অনুভুতি অনুভব করতেছি । যা শুধুই ওকে দেখার খুশি ।


জীবনের থেকে চলে গেলো আরও একটা দিন। শুরু হল নতুন আরেকটা দিন। এইভাবে একটা একটা করে কত যে দিন চলে
গেল তা হিসাব করা হয়নি। বয়সটা কতোর গণ্ডিতে এসে দাড়িয়েছে তা ও ভেবে দেখিনি। অহেতুক ভাবনায়ই বা কি লাভ?
দিনটি শুরু হল নতুন এক সম্ভাবনা নিয়ে। যার মাঝে শুধুই রয়েছে সে। তাকে আপন করে পাওয়ার সম্ভাবনা ।
যদিও প্রতিটাদিন ই এই সম্ভাবনায় শুরু হয় । তবুও এই ভাবনাটাই ভাবতে যেন খুব ভালো লাগে। তাই তো না পাওয়ার
মাঝেও তাকেই ভেবে যাই । মনটা আবার নতুন রূপে সেজে উঠে। আজ হয়তো তাকে দেখবো আরেকটি নতুন রূপে।
অনেক কষ্টে তার নাম টা জানা গেছে। নামটিও বেশ মনে ধরেছে আমার। কোন শিশির ভেজা সকালে হয়তো তার ফুটফুটে
জীবনটি আলোকিত হয়েছিল এই পৃথিবীতে। আর সেই সুবাদেই হয়তো তার বাবা মা তার নাম দিয়েছিল শিশির ।
এই নামে আমার অনেক ছেলে বন্ধু ও আছে। ভাবতেছি ওদের সব গুলোর আকিকা দিয়ে নাম পরিবর্তন করে দেবো ।
খুব তরিঘরি করে নাস্তা সারতে হবে। এভাবেই ঘুম থেকে উঠতে খুব সময় নিয়েছি। সব হয়েছে কাল ইমরান এর বাসায়
রাত ১১ টা পর্যন্ত মুভি দেখার ফলে ।


যথা সময়ে এসেছি নাকি তাই নিয়ে অনেকটা সন্দেহে আছি । ওর তো এত সময়ে কলেজের উদ্দেশে বেড় হয়ে যাওয়ার কথা
ছিল । ভয় কাজ করছে মনে । একটু এগিয়ে দেখবো ?? নাহ ও যদি তখনই বেড় হয় । আমাকে দেখে ফেললে তো সমস্যা
হয়ে যাবে । দেখি আরও কিছু সময় অপেক্ষা করে ।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান হল । আজ তাকে দেখতে আরও সুন্দর লাগছিলো । মেয়েরা কি দিন দিন সুন্দর হয় ?
নাকি ফেয়ারনেসের কোন গোপনীয় প্রোডাক্ট রয়েছে শুধু তার জন্য? এই ভাবনা কেন ভাবছি? হয়তো আমার চোখেই
ও প্রতিদিন সুন্দর হয়ে ধরা দেয় । হয়তো সপ্নের মানুষটি বলেই ও এত সুন্দর । আবার হয়তো অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষার
পর যখন ওকে দেখতে পাই তখন মনের রঙ গুলো ওর রঙের সাথে ছরিয়ে আরও সুন্দর রুপ ধারন করে ও ।
তাকিয়ে আছি অপলক দৃষ্টিতে ওর চলে যাওয়া সেই পা দুটির দিকে । খুব ইচ্ছে হচ্ছে ওকে থামিয়ে আমার মনের কথা
বলে দিতে । যদিও তা আমি করবো না । এই দূর থেকে দেখতে পাওয়ার সুখ আমি চাই না আমার একটি ভুলের
কারনে আমি হারিয়ে ফেলি । চাই না তার একটি মুখের কথায় আমার এত দিনের জমিয়ে রাখা সুখগুলো সব বিষাদের ডিঙ্গিতে
পরিনত হোক ।

সুখের সময়টা আবার হারিয়ে যাচ্ছে এক পা এক পা করে । নিয়ে আসছে সে নতুন দিনের সুখের বার্তা । এতেই
আমার সন্তুষ্টি । হয়তো একদিন তাকে বলবো মনের কথা গুলো । তা হোক না একটু পরে ।

নতুন একটি দিন শুরু । দিনটি আসলেই কি রকম নতুন লাগছিলো । রান্নাঘরে আম্মুর কথা বলার আওয়াজ শুনতে
পেলাম । কার সাথে কথা বলে উনি ? এই রকম সময় তো উনার সাথে কথা বলার মত কেউ থাকে না ।ব্যাড ছেরে
মাটিতে পা ফেললাম । কিছুটা ঠাণ্ডা পড়েছে । ফ্রেশ হওয়ার জন্য যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম আম্মু ছোট বোনটার সাথে
কথা বলতেছে । কিন্তু আজ বাসায় কেন । হয়তো স্কুলে যায় নি ।এই জন্যই দিন টি নতুন লাগছিলো বুঝতে পারলাম । বড়
বোনের বিয়ের পর এবং বড় ভাইটার বাহিরে চলে যাওয়ার পর থেকে ঘর টা কি রকম নিরব হয়ে গেছে ।আগের মত
সেই গুঞ্জন নেই ।আম্মু নাস্তা ভেরে বলল ফ্রেশ হয়ে খেয়ে উঠতে । তার কাজ তো ঐ একটাই আমাদের কিভাবে খাইয়ে
খাইয়ে ফুলোতে পারে ।

নাস্তা টা সেরে আর সময় নিলাম না । বেড় হলাম তাকে দেখার আশায় । আজ অন্ন আরেকটি স্থানে বসব ঠিক করেছি ।
যেখান থেকে ওকে খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাবে এবং কেউ দেখলেও সন্দেহ করবে না সহজে । ওর বাড়ির সামনেই একটি
চায়ের দোকান । ঐ টাই হবে আমার নতুন বসার অথবা লুকিয়ে থাকার স্থান । বসে মামাকে একটি চায়ের জন্য ও বলা
হয়ে গেল । সিগারেট খেতে ইচ্ছে হচ্চে কিন্তু এখন ও আসবে । যদি দেখে খুব খারাপ ধারনা নেবে আমার সম্পর্কে ।
তাই সিগারেট ছারাই চা টি শেষ করলাম । তাকিয়ে আছি ওর বাড়ির দিকে । কিন্তু ও এখনো বেড় হচ্ছে না কেন । এতো
সময়ে তো ওর বাস স্ট্যান্ড এ থাকার কথা । দেখি আরেকটুকু । উদবিগ্নতা বেঁড়ে যাচ্ছে । এতোক্ষনে চায়ের দোকানের মামাও
বুঝে গেছে । তাই আমার দিকে একটু মিদু হাসি ঠোঁটে নিয়ে তাকাচ্ছে ।

খেতে খেতে ৫ কাপ চা খেয়ে ফেললাম কিন্তু সে এখনো আসলো না । মোবাইল বার বার বেড় করে সময় দেখতেছি ।
২ ঘণ্টা ওভার হয়ে গেছে । হটাত একটি ফ্রেন্ড এসে বলল কিরে বন্ধু এখানে কি করিস । বললাম নারে বন্ধু এভাবেই যা তুই
আমি আসতেছি । ও আমাকে জানিয়ে গেল আজ শুক্রুবার একটু তাড়াতাড়ি যেন বাসায় যেয়ে নামাজের প্রস্থুতি নেই ।
সে দিকে আমার কোন খেয়াল নেই এখন । ও চলে যাওয়ার পর আমি আবার সেই দোকানে বসলাম । এইবার ভাবলাম মামা
কে বলেই ফেলি । মামা... উনি ফিরে তাকাল । এই বাসায় একটি মেয়ে থাকে না ? আঙ্গুলটি ২ তলা ব্রিসিস্ট বাড়ির দিকে
দেখিয়ে... উনি উত্তরে বললেন হ্যাঁ মাঝে মাঝে দেখি কলেজে যেতে । কেন মামা কি হইছে । উনি সব ই বুঝতে পারছে
তারপর ও নেকামি করে কি হয়েছে জানতে চাইল। আমার এখন দরকার তাই বলতেই হবে ...মামা ওর তো আজ এখান দিয়েই
কলেজে যাওয়ার কথা । মামা উত্তরে বলল আমি তো জানতাম মামা জে শুক্রু বারে আপনাদের কলেজ ভার্সিটি বন্ধ থাকে।
খেলাম একটা বড় সরও কারেন্টের শর্ট মনের ভেতর । বন্ধুটাও এই মাত্র বলে গেল আজ শুক্রু বার তারপরও বুঝতে পারলাম
না । আজ ওকে দেখতে পাব না ভেবে মনটা আরও কাতর হয়ে গেল ।

দুপুর বেলা খেয়ে বিশ্রাম নিতে আর ভালো লাগছিলো না । ভাবলাম একটা সিগারেট খেয়ে আসি । বাহিরে এসে হাঁটতে
হাঁটতে স্কুল পারার দিকে গেলাম । ভাবলাম ওর বাড়ির সামনে বসেই সিগারেট তা খাই । সিগারেট টা জ্বালাতে গিয়ে কিছু
একটা আমার চোখে পড়লো । ওদের বারান্দাটায় কেউ এক জন । এটা তো ও । চোখ দুটি বড় হতে চাইছিল । এই
অপরুপ সুন্দরতা তো কখনো দেখি নি । ওর চুল গুলো কত সুন্দর । খোলা চুলে ওকে যেন সগের পরীর মত দেখাচ্ছিল ।
অপলক ভাবে চেয়ে চেয়ে ওকে দেখলাম ...।

এভাবেই এখন মাঝে মঝে ওকে দেখতে দিনে রাতে সকালে বিকেলে এসে পরি ওদের বাড়ির সামনে । এর ভেতর
ওর নজরেও পরেছি কয়েক বার ।
কলেজ টাইম এ ওকে দেখি ওর পিছু নেই । ভালই যাচ্ছিল দিন গুলো । মনে শুধু ওকে আপন করে পাই নি এখনো সেই
কষ্টটা ছাড়া আর কোন কষ্ট বাসা করতে পারেনি । খুব ভয় ছিল যদি এর ভেতরে কেউ কে ও মন দিয়ে থাকে অথবা আমার
এতটা অবহেলার ফলে ও অন্ন কারো হয়ে যায় । তাই মনে মনে সংকল্প করেছি যে ওকে মনের কথা বলেই দেবো যা
হওয়ার হোক গে । যদিও এতটা সাহসী আমি না ।

অন্যান্য দিনের মত আজকের দিনটা ও খুব স্বাভাবিক শুরু হল । কিন্তু আমার কাছে দিনটা স্বাভাবিক ছিল না । আজ আমি
আমার দূর থেকে দেখে যাওয়া , স্পর্শ করে দেখতে না পাওয়ার যন্ত্রণাকে দূরে ঠেলে বলে দেবো সব মনের কথা আমার সেই
সপ্ন থেকে উদিত হওয়া সপ্নের রাজকন্না কে । ওর পিছু নিয়েছি আজ ।খুব ভয় হচ্ছে । আবার ওকে আপন করে পাওয়ার ও
আনন্দ । ও কিছুক্ষন পর পর এ পিছু তাকাচ্ছে । বুঝে ফেলেছে যে আমি ওর পিছু নিয়েছি । আমার পা হটাত ভয়ে থমকে যায় ।
আবার ওকে পাওয়ার আশায় এগিয়ে যাই । ও একটি বাসে উথার অপেক্ষায় । আমিও ওর পাশাপাশি এসে দারালাম । জানিনা
এতটা সাহস কোথা হতে এসেছিল । এইরকম টা আগে কখনো করিনি । ও আমার দিকে আর চোখে কিছুক্ষণ পর পর ই
তাকাইতেছিল । আমার বুক তখন কামড়ে উঠতেছিল । কিন্তু ভয় আমি পাবো না এতো দূর এসে থেমে গেলে আমার আর বলা
হবে না । এইভাবেই মন কে বুঝাইতেছিলাম । ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে । এটা কি আমার কল্পনা । খুব একটা ঘাব্রে
গেলাম । আমি আমার দিকে তাকালাম । দেখি আমি থর থর করে কাঁপছি । যদিও এই কথাটা ভাবলে এখন আমার হাসি
আসে কিন্তু তখন দেখার পর আমার কপাল ভেয়ে ঘাম জোরে পরেছিল ।
বাস এসে পরাতে হাক ছেরে বাচলাম । ওকে উঠতে দিয়ে বাস এ আমি ওর পরে উঠলাম ।
খুব বিরক্তিকর অবস্থা বাসের । এতো মানুষ দারিয়ে তার মাঝে আমি পিছু পরে গেলাম ।
মেয়ে হওয়ার সুবাদে ও সাম্নের তৃতীয় বসার স্থান টি পেয়ে গেল । ভালই লাগছে ওকে দেখতে
দেখতে আমি ওর সাথেই কোথাও যাচ্ছি । ওর কত পাশাপাশি আজ আমি । এই ভাবনা থেকে
বেড় হতেই দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমার চোখ ওর চোখ হওয়াতে হটাত ও
কিছুটা ইতস্ত রূপে আমাকে ওর পাশের সিট দেখিয়ে বলল আপনি এইখানটায় বসুন । আমি
তো আকাশ থেকে পরলাম । ও আমকে বলছে ......? কি উত্তর দেবো .........? না নাহ ঐটাতো
লেডিস সিট । ও বলল এখানে তো কোন লেডিস নেই ,আসলে উঠে যাবেন ।
এখন বসুন । এই সুযোগ কে ছারে । বসে পরলাম ওর পাঁশে ।বুঝতে পারলাম ও ও আমাকে
পছন্দ করে নাহলে এতো মানুষ রেখে আমাকে বস্তে বলল কেন ।

দুজন খুব নীরব হয়ে আছি । হটাত ও জিজ্ঞেস করল ...........................ঃ
- কোথায় যাবেন আপনি ।
- আপনি যেখানে যাবেন ।
-মানে ???
- ওহ সরি । (কি বললাম এটা ) আমি আসলে ভার্সিটির দিকে যাচ্ছি। আপনিও নিশ্চয়ই কলেজে যাচ্ছেন তাই বললাম আপনি যেখানে যাবেন ।
-ও আচ্ছা ।
বাস টা ও আজ এতো তাড়াতাড়ি এসে পড়লো। আসলে সুন্দর সময় গুলো এভাবেই খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়।

ওর কলেজের সামনে আমি দাঁড়িয়ে । ওর অপেক্ষায় ।
অবশেষে অপেকক্ষার অবসান । সে আসলো । আমাকেও দেখে ফেলেছে ইতিমধ্যে । হেসে ও বললো,
- এই যে ভাইয়া। আপনার ভার্সিটি কি এইখানে ?
-  হুম আপনি যেই কলেজ & ভার্সিটি তে পরেন ঐ ভার্সিটি তে আমিও পড়ি ।
- কি বলেন । আপনি আমদের কলেজ আই মিন আমাদের ভার্সিটিতে পরেন?
- হুম ।
- এখন আপনি কোথায় যাবেন? এইতো বাসায় যাবো তাই রিক্সা খুজছি। (ভয়ে ইচ্ছে হচ্ছে আজ না বলি )
- আপনি তো আমাদের এখানেই যাবেন তাই না ।
-হুম

একটা রিক্সা পেয়ে গেলাম । খুব সাহস করে বললাম, ‘যাবেন আমার সাথে?’ ও সানন্দেই চড়ে বসলো রিকশায়। ভাবলাম আজ আর বলবো না কিছু। কিন্তু ইচ্ছে ও হচ্ছে খুব আপন করে নিতে ওকে । হঠাত ও মুখ খুলল ।
-ভাইয়া একটা কথা জিজ্ঞেস করি ??
-অবশ্যই ।বল
-আপনি ভার্সিটি তে না যেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান কেন?
-আমার ভার্সিটি তো বন্ধ ।
-ও আচ্ছা । তবে আপনাকে সব সময় দেখি বাহিরে । আমাদের বাড়ির সামনে প্রায়ই আপনাকে দেখি ।
_তোমাদের বাড়ির সামনে কিছু কাজ আছে আমার সেগুলোর জন্যই ঐদিকটায় যাওয়া ।
-সেই মূল্যবান কাজ টা কি আমাকে দেখা ?
-(কি বলবো আমি । যা আমি বলতে চেয়েছিলাম তার কি ও সুযোগ করে দিচ্ছে ?
নাহ উত্তর আমায় দিতেই হবে ) মোটামুটি অইরকম ই ।
-আপনি আমাকে পছন্দ করেন ?
-হুম ।
-শুধু ভালবাসবেন নাকি বিয়ে ও করবেন?
-সব ।
আমার হাতে একটা কাগজের টুকরো ধরিয়ে ও নেমে গেল। ঐখানে লিখা ছিল আমি আপনাকে অনেক আগে থেকেই দেখেছি আপনি আমার পিছু নিতেন। ভালো করে একদিন আপনাকে দেখলাম । আপনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে । আমি বারান্দায় আসতাম ও আপনার জন্য । আজ যখন বাস এ উথেছেন তখন ই বুঝেছি আপনি আমার জন্যই এসেছেন তাই বেশি ক্লাস করিনি । লাইবেরি তে বসে চিরকুট টি লিখে রেখেছিলাম । আমি আপনাকে আরও ভালো ভাবে জানতে চাই । নিচে আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিয়েছি ।

আমি পুরো আকাশ থেকে পরলাম । আজ আমি আমার হাতে আকাশের চাঁদ পেয়েছি । এইখানেই তো আমার ভালোবাসার শুরু ।


লিখেছেন- পারভেজ খান

No comments:

Post a Comment